দায়িত্ব নেয়ার মাত্র ছ’মাসের মধ্যেই রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা: বিপাশ খীসাকে প্রতিবেশ পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বদলী কওে সেই জেলার সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমাকে রাঙামাটির সিভিল সার্জন পদে বদলি করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ পার-২ অধিশাখার উপসচিব শারমিন আক্তার জাহান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে এ বদলি ও পদায়নের বিষয়ে বলা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বদলি প্রদানকৃত কর্মকর্তাদেরকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় অষ্টম কর্মদিবসে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অব্যাহতি মর্মে গণ্য হবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
একই আদেশে সিভিল সার্জন পদমর্যাদার আট কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে।
এই বিষয়ে জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা: বিপাশ খীসা বদলী আদেশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, আমি ঠিক জানিনা,কি কারণে বদলী করা হয়েছে,মাত্রই তো কাজ শুরু করেছিলাম। তবে আমার যদ্দুর মনে হয়, রাঙামাটি আমার নিজের জেলা হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত হতে পারে।’
তবে পূর্বেকার সিভিল সার্জন ডা: সুপ্রিয় তালুকদার,ডা: নাজের আহমেদ,ডা: স্নেহ কুমার চাকমা’ও রাঙামাটির বাসিন্দা ছিলেন স্মরণ করিয়ে দিলে সিভিল সার্জন ডা: বিপাশ খীসা বলেন,-‘ এটা আসলে আমিও জানিনা,জাস্ট ধারণার কথা বলছি। হয়তো এটাই কারণ কিংবা অন্য কোন কারণ, আমি ঠিক জানিনা।’
প্রসঙ্গত,সিভিল সার্জন ডা: বিপাশ খীসা দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়ার মধ্য দিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও দায়িত্বশীলদের আস্থা অর্জন করার পাশাপাশি সাধারন মানুষও খুশী হয়েছিলেন। দ্রুত ও স্বল্পতম সময়ের মধ্যে পিসিআর ল্যাব চালুর নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। করোনাকালীন সময়ে রাঙামাটি সদর হাসপাতালের অধিকাংশ নার্স ও চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও এক মিনিটের জন্যও হাসপাতালের সেবা বন্ধ না করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তিনি।
এইসব কারণে রাঙামাটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব পবন চৌধুরীও তার উপর দৃশ্যত সন্তুষ্ট ও খুশী দেখা গেছে। স্পষ্টভাষী ও সরকারি দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট ডা: বিপাশ খীসা চিকিৎসক হিসেবেও রাঙামাটি শহরে বেশ জনপ্রিয়। তার আকস্মিক বদলীর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন অনেকেই।