পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ॥
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় পর্যায় প্রতিরোধে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে, ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরুনো পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। বুধবার সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিষদ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আগাম প্রস্তুতি হিসাবে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ৫০টি বেডে ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে হাইফ্লো অক্সিজেন সিস্টেম স্থাপন এবং ৫ উপজেলায় ৫টি ওয়াটার এ্যাম্বুলেন্স প্রদানের প্রক্রিয়া চলছে।
পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম এর পরিচালনায় জেলা পরিষদের এনেক্স ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী, সদস্য হাজী মুছা মাতব্বর, সদস্য অমিত চাকমা রাজু, সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, সদস্য সান্তনা চাকমা, সদস্য থোয়াই চিং মারমা, সদস্য সাধন মনি চাকমা, সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, সদস্য ত্রিদীব কান্তি দাশ, সদস্য মনোয়ারা আক্তার জাহান, স্বাস্থ্য বিভাগের সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা, পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়–য়া, জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা এবং হিসাব ও নিরীক্ষা কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদুল আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা রাঙামাটি জেলার করোনা পরিস্থিতির ওপর সংক্ষিপ্ত বিবরণ সভায় উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন রাঙামাটিতে সর্বশেষ (১৮ নভেম্বর পর্যন্ত) করোনা পজিটিভ আছেন ৯৮৫জন। ইতোমধ্যে ৯১৮জন সুস্থ হয়েছেন। মোট মৃত্যু ১৪জন। আক্রান্তের হার ১৯.৬২%, সুস্থতার হার ৯৩.২০% এবং মৃত্যুর হার ১.৪২%। বিগত ১৪দিনের(০৩ নভেম্বর ২০২০-১৭ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত) মধ্যে ৬টি উপজেলায় (বাঘাইছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, লংগদু, রাজস্থলী) করোনায় আক্রান্ত হয়নি। রাঙামাটি পিসিআর ল্যাবে রোগী পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৭৯০টি। তন্মধ্যে করোনা পজিটিভ এসেছে ৯৮৫ জনের।