রাঙামাটির স্বাস্থ্যসেবার আদ্যপান্ত জানলেন সচিব পবন চৌধুরী
স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে বিশেষ সভা

রাঙামাটি জেলায় উপজেলা পর্যায় হাসপাতগুলোর বর্তমান অবস্থা জানতে সভা করেছেন রাঙামাটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। শুক্রবার বিকালে রাঙামাটি সার্কিট হাউজে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পুলিশ সুপার আলমগীর কবির, সিভিল সার্জন বিপাশ খীসা, রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. প্রীতি প্রসুম বড়–য়াসহ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা এসময় কোভিড-১৯ চিকিৎসা দিতে গিয়ে কি কি সমস্যায় পড়েছেন এবং বর্তমানে প্রতিটি হাসপাতালে জনবলের সমস্যার কথা উঠে আসে আলোচনা সভায়। কোভিড-১৯ আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন তবুও কোথায় চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ ছিল না। দুর্গম কাউখালী, জুরাছড়ি ও বরকল উপজেলায় ১০ বেডের হাসপাতাল দিয়ে পুরো উপজেলায় স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হচ্ছে। লোকবল সংকটে বর্তমান সময়ে কঠিন হয়েছে বলে জানান তারা।
রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা: বিপাশ খীসা জানান, এখন ৩০ থেকে ৩৫ টির বেশি নমুনা পাঠানোর ব্যাপারে চিঠি আকারে নিষেধ করা কারণে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কাউকে পরীক্ষা করছি না। রাঙামাটিতে পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম শুরু না হওয়া পর্যন্ত বেশি সংখ্যক পরীক্ষা করা সম্ভব না।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ জানান, রাঙামাটি সদর হাসপাতালের উন্নয়নে সেন্টাল অক্সিজেনের ব্যাপারে পার্বত্য মন্ত্রণালয় সচিব মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং দ্রæততম সময়ের মধ্যে রাঙামাটিতে পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
রাঙামাটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে যারা সামনে থেকে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের নিরাপত্তাটা অবশ্যই আগে দেখতে হবে। সে যদি নিরাপদ থাকে তাহলে বেশি সংখ্যক মানুষকে সেবা দিতে পারবে। তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসকের ভাষ্যমতে রাঙামাটি সদর হাসপাতালের সেন্টাল অক্সিজেন সবরাহের ব্যবস্থা পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সচিব করে দেয়ার কথা বলেছেন। আর যদি তার ব্যবস্থা না করে তাহলে আমি সেটির ব্যবস্থা করে দিব।