ব্রেকিংরাঙামাটিলিড

রাঙামাটির মেয়ে ফেনীতে দুই দফায় ধর্ষিত !

দুই ধর্ষক’ই আটক

বোনের সাথে রাগ করে চট্টগ্রামের বাসা থেকে ফেনীতে বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে চলে গিয়েছিলো মেয়েটি। কিন্তু কে জানতো নিয়তি মেয়েটিকে এমন নির্মম কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি করবে। হ্রদ পাহাড়ের শহর রাঙামাটির মেয়েটি ফেনী শহরের বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় বান্ধবীর কাছে গিয়ে বাসা খুঁজতে খুঁজতে রবিবার রাতে দুই বখাটের হাতে দুই দফায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে । ধর্ষিতা এই মেয়েটির বাড়ি রাঙামাটি সদর উপজেলায়।মর্মান্তিক এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ফেনীতেও। দেশজুড়ে ধর্ষন ও ধর্ষনের প্রতিবাদে মুখর সময়েও এই বর্বরতার ঘটনায় ক্ষুদ্ধ সবাই।

ফেনী মডেল থানা পুলিশ রাতেই ঘটনায় জড়িত সেলুন দোকান কর্মচারী ও রিক্সাচালক দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের বোনের বাসা থেকে রবিবার রাতে ফেনী শহরের বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় এক বান্ধবীর কাছে বেড়াতে আসে ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণী। রাত ১১টার দিকে মহিপালে বাস থেকে নেমে রিক্সায় ওঠে। রিক্সাচালক মো: রিয়াদ তাকে বিভিন্নস্থান ঘুরিয়ে রাত ২টার দিকে শহরের দেওয়ানগঞ্জ মুক্তার বাড়ি সংলগ্ন ডেকোরেশন দোকানের সামনে একটি গাছের সাথে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর তাকে সালাহউদ্দিন মোড় সংলগ্ন কাঠবেল­া এলাকায় নামিয়ে দিয়ে রিক্সাচালক চলে যায়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল থেকে আসা সেলুন দোকান কর্মচারী ছোটন শীল তার বান্ধবীর কাছে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে হেঁটে দেওয়ানগঞ্জের অদূরে ফতেহপুর যাওয়ার সড়কের কালভার্টের পাশ্বে একটি দোকান ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে জোরপূর্বক ধর্ষণ শেষে বিসিক সড়কের দিকে চলে যায়। গতিবিধি সন্দেহ হলে টহলরত এএসআই ফিরোজ আহমেদ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে নির্যাতিতা তাকে ধর্ষণের ঘটনা জানালে ছোটন শীলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

কিশোরীর দেয়া তথ্যমতে, রিক্সাচালককেও আটক করা হয়। ছোটন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থানার ধর্মপুর এলাকার সমীর শীলের ছেলে ও শহরের হাজারী রোডের একটি সেলুন দোকানে চাকুরী করে। আর রিক্সাচালক রিয়াদ লক্ষীপুরের কমলনগর থানার মো: সাদেকের ছেলে।

ফেনী মডেল থানার এএসআই ফিরোজ জানান, নির্যাতিতা তরুণীর দেয়া তথ্যমতে আবুল খায়ের ম্যাচ ফ্যাক্টরীতে চাকুরী করে তার এমন কোন বান্ধবীর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

ফেনী মডেল থানার ওসি (অপারেশন) আদিল মাহমুদ  জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ওই তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।

তরুণী ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফেনী মডেল থানার ওসি মো: আলমগীর হোসেন  জানান, পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের আদালতে হাজির করা হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen + 3 =

Back to top button