রাঙামাটিতে নয় হাজার পাঁচশত টাকার জাল নোট ও একটি মোবাইল সেট সহ হাতে নাতে মো: ফখরুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করে পুলিশের তুলে দিয়েছে রাঙামাটি বনরুপা বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকার জনগণ। শনিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শনিবার হাট বাজারের দিনে মো: ফখরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ব্যবসায়ী মো: মাখন, বিক্রম চাকমা, নীল মোহন চাকমা ও সুশান্তি চাকমা ৪ জন ব্যবসায়ীদের থেকে কমলা,সুপারী,শাক-সব্জি ক্রয়ের সময়ে তাদের নজরে পরে। পরে সুশান্তি চাকমা থেকে কমলা ক্রয়ের সময়ে সুশান্তি চাকমা জাল টাকার নোট চিনতে পেরে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের জাল টাকার নোট বিষয়টি অবগত করে। পরে ব্যবসায়ী ও বাজারে আসা পথচারীদের যৌথ উদ্যোগে জাল টাকা সহ ফখরুল ইসলাম নামের আসামীকে হাতে নাতে ধরে। আসামী ধরা পড়ার বিষয়টি জানাজানি হলে বনরুপা ত্রিদিব নগর বাজার ব্যবসায়ী বহুমূখী সমবায় সমিতির অস্থায়ী কার্যালয়ে পক্ষ থেকে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় যোগাযোগ করে এস আই শিবুর কাছে আসামী মো: ফখরুলকে হস্তান্তর করে ত্রিদিব নগর বাজার ব্যবসায়ী বহুমূখী সমবায় সমিতির সভাপতি ¯েœহাশীষ চাকমা (আশীষ)।
আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় আসামীর আসল নাম মো: ফখরুল ইসলাম, পিতা- মো: সিরাজুল হক, সাং-খেজুর বাড়িয়া,চৌধুরাবাড়ি, ১১নং ইউপি দাশপাড়া,থানা-বাউফল, জেলা- পটুয়াখালী। তার কাছ থেকে এক হাজার টাকার জাল নোট ৯টি এবং পাঁচশত টাকার জাল নোট একটি পাওয়া যায়। ক চ ৫৬৩৫৭৪৭ নাম্বারে ৪টি জাল নোট, ক চ ৫৬৩৫৭৪৩ নাম্বারে ২টি জাল নোট, ক চ ৫৬৩৫৭৪২ নাম্বারে ৩টি জাল নোট ও ক ঞ ৫০৫৬৩৭৭ নাম্বারের একটি পাঁচশত টাকার জাল নোট সহ মোবাইল সেট পাওয়া যায়।
ঘটনার সত্যতা বিষয়ে জানতে চাইলে ¯েœহাশীষ চাকমা (আশীষ) বলেন, এভাবে জাল টাকা ব্যবসায়ীদের কারনে শত শত ক্রেতা-বিক্রেতা সহ ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পরে যায়। জনগণের সহযোগিতার কারনে আজ জাল টাকার আসামীকে ধরা সম্ভব হয়েছে। কোন প্রকার অসাম্প্রদায়িকতার যাহাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমরা পুলিশের কাছে আসামীকে সোর্পদ করেছি।
কোতয়ালি থানার এসআই শিবু জানান, আসামীর বিরুদ্ধে জাল টাকার বিষয়ে নিয়মিত মামলা করা হবে।
1 Comment
magir poware maros na kere