রাঙামাটির করোনা শনাক্ত একশ পেরোলো
সকালে কাপ্তাইয়ে ৮ জনের পর রাতেই শহরের ১৪ জন শনাক্ত

শনিবার সকালে পাঁচদিন পর সিভাসু থেকে আসা রিপোর্টে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় ৪ পুলিশ সদস্যসহ ৮ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়ার পর রাতে বিআইটিআইডি থেকে আসা রিপোর্টে রাঙামাটি শহরেই আরো ১৪ জনের রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি সিভিল সার্জন অফিসের করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডা: মোস্তফা কামাল।
এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হলো ১০৪ জনের এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার মধ্যে প্রথম জেলা হিসেবে করোনা শনাক্ত একশ পেরোলো এই জেলার। অথচ শুধু পার্বত্য বাকি দুই জেলাই নয়, দেশের বাকি ৬৩ জেলার পরই করোনা শনাক্ত হয়েছিলো এই জেলায় গত ৬ মে।
ডা: মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, শনিবার সকালে সিভাসু থেকে ২৫ জনের রিপোর্ট এসেছিলো,এদের মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গিয়েছিলো ৮ জন,তারা সবাই ছিলেন কাপ্তাই উপজেলার। রাতে বিআইটিআইডি থেকে ৫৭ জনের রিপোর্ট আসে,এর মধ্যে ১৪ জনের পজিটিভ এসেছে এবং এরা সবাই রাঙামাটি শহরের বাসিন্দা।
বিআইটিআইডি’র একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছেন, রাঙামাটি শহরের আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে ৮ বছর বয়সী একজন কণ্যাশিশু ছাড়া বাকি সবাই পুরুষ এবং তাদের বয়স ২৫,২৮,১৫,৪৫,২৬,৫৪,৩৪,২৭,৩৮,২১ ২৭ এবং ২৬ বছর। অর্থাৎ নতুন এই আক্রান্তদের সর্বনিন্ম বয়স ৮ থেকে সর্বোচ্চ ৫৪ বছর পর্যন্ত।
গত ৬ মে প্রথম করোনায় জেলায় ৪জন আক্রান্ত হওয়ার পর ১৩ জুন পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত হলো ১০৪ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৫০ জন। মারা গেছেন ২ জন। রাঙামাটি থেকে এই পর্যন্ত নমুনা পাঠানো হয়েছে ১৫২৬ জনের।
প্রসঙ্গত,রাঙামাটি থেকে পাঠানো নমুনাগুলো চট্টগ্রামের সিভাসু ও বিআইটআইডিতে পরীক্ষা শেষে রিপোর্ট পাঠানো হয়। কিন্তু গত ৮ জুন সর্বশেষ রিপোর্ট পাঠানোর পর শুক্রবার ১২ জুন পর্যন্ত, টানা চারদিন জেলার কোন রিপোর্ট আসেনি। পঞ্চম দিন ১৩ জুন সকালে সিভাসু থেকে ২৫ টি এবং রাতে বিআইটআইডি থেকে ৫৭ টি রিপোর্ট আসলো। এই মোট ৮২ টি রিপোর্টের মধ্যে ২২ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ আসলো। এনিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত হলো ১০৪ জন। জেলার ১০ টি উপজেলার মধ্যে একমাত্র বরকল ছাড়া বাকি সবগুলো উপজেলাতেই সংক্রিত হয়েছে বিশ্বব্যাপি ভয়াবহ হয়ে উঠা কোভিড-১৯।