রাঙামাটিতে শিক্ষার্থীদের কভিড টিকাদান শুরু

জিয়াউল জিয়া ও রিকোর্স চাকমা
সারাদেশের ন্যায় রাঙামাটিতেও ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ও জাতীয় পরিচয়পত্রবিহীন শিক্ষার্থীদের কভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার সকালে রাঙামাটি চিং হ্লা মং চৌধুরী মারী স্টেডিয়ামে শিক্ষার্থীদের কভিড টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী। এসময় জেলা সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমসহ স্বাস্থ্য বিভাগ ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রে জানা গেছে, এই টিকা কার্যক্রমের আওতায় ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল জন্মসনদ নম্বর দিয়ে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীরা ফাইজারের টিকাগ্রহণ করছেন। তবে শিক্ষার্থীরা রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া মাস খানেক আগে থেকে শুরু করলেও টিকা রাঙ্গামাটিতে না পৌঁছানোয় কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ। যে কারণে শুরুর দিকে টিকাপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের চাপ বেশি দেখা যাচ্ছে। টিকাপ্রদান কার্যক্রমের প্রথম দিনেই রাঙামাটির ২০০ শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ ফাইজারের টিকা দেয়া হয়েছে।
টিকাগ্রহন করতে আসা এক শিক্ষার্থী জানান, স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্মসনদ দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরুর প্রথম দিকেই রেজিষ্ট্রেশন করেছি। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও টিকার মেসেজ না আসায় উদ্বেগে ছিলাম। এখন টিকাগ্রহণ করেছি। প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষ্যণীয়, সে কারণে গাদাগাদিও হয়েছে।
রাঙামাটি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রথম দিনে রাঙ্গামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০ শিক্ষার্থীকে টিকার আওতার আনা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে জেলা সদরের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা টিকার আওতায় আসবে। জেলায় মোট ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে; যার মধ্যে ১৮ হাজার টিকা পাওয়া গেছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা জানান, জেলার স্কুল ও কলেজের ১২ থেকে ১৭ বছরের সকল শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা দেয়া হবে। তবে জেলার উপজেলাগুলোতে দুর্গমতা ও সেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিতকক্ষ না থাকায় ওইসব এলাকার শিক্ষার্থীকে রাঙামাটি সদরে এসে টিকা গ্রহণ করতে হবে।