রাঙামাটিতে যুব ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে যুব ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শনিবার (২৮ আগস্ট) বিকালে রাঙামাটি জেলা শহরের বনরূপায় একটি রেষ্টুরেন্টে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি এম জিসান বখতেয়ারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি সমীর কান্তি দে, জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি অমলেন্দু হাওলাদার, জেলা যুব ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও সিপিবি নেতা আশীষ দাশগুপ্ত, জেলা যুব ইউনিয়নের সহ-সভাপতি কমল বিকাশ দে, জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক সৈকত রঞ্জন চৌধুরী, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত রনি প্রমুখ।
এসময় সভাপতির বক্তব্যে জেলা যুব ইউনিয়ন সভাপতি এম জিসান বখতেয়ার বলেন, ‘আমরা সেখানে ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলছি; সেখানে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ও তাদের অঙ্গসংগঠন যুবলীগ, ছাত্রলীগ রাজনীতির নামে লুটপাটে ব্যস্ত। তাদের কাছে মেহনতি মানুষের কোনো প্রত্যাশা নেই। এদেশের উন্নয়ন শুধু আজ কয়েকটা সেতু, ফ্লাইওভার আর বড় বড় দালানকৌটার দিয়ে দেখানো হচ্ছে। কিন্তু প্রান্তিক মানুষের উন্নয়ন তথা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কতটা হয়েছে; সেটা এই কভিডকালেই দেশবাসী ও বিশ্বের মানুষ দেখেছে। এসময় তিনি রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন ছেড়ে সুস্থ থাকার রাজনীতিতে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামলীগ সরকারকে।
জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সৈকত রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘যে দেশে দিনের ভোট রাতে হয়ে একটি অগণতান্ত্রিক সরকার নির্বাচিত হয়। সেখানে নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্রের যে দায়িত্ববোধ থাকবে না, এটা আমার কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার মনে হয়েছে। তারা যদি গণতান্ত্রিকভাবে সুস্থ ধারায় নির্বাচিত হয়ে সরকার প্রতিষ্ঠা করতো, তাহলে জনগণের আশা আকাক্সক্ষা প্রতিষ্ঠা পেত। মানুষ তাদের কথার বলার স্বাধীনতা ফিরে পেত, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামের ‘কালাকানুন’ বাঁধা হয়ে দাঁড়াতো না।’
এসময় বক্তারা বলেন, ‘১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত যুব সংগঠন বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের দেশের অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। বিভিন্ন সময়ে বেকার যুবকসহ দেশের নানান সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এই সংগঠনটি। নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েই তারা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে মানুষের পাশে থাকার। এই মহামারী কভিডকালেও রাজধানীসহ বেশ কিছু জেলায় রেড ভলান্টিয়ার্স হিসেবে কাজ করছে তারা। এছাড়া দেশে ঘুষ, দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন ও শিক্ষাজীবন শেষে চাকরি নিশ্চিতের দাবি দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছে এই সংগঠনটি।’