সারাদেশের মতো পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতেও চলছে শারদীয় দুর্গা পূজার শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। এবার রাঙামাটি শহরের ১৩টিসহ জেলার দশ উপজেলায় ৪১টি পূজা ম-পে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয়া দুর্গা উৎসব। উৎসবকে ঘিরে পূজা ম-পগুলোতে প্রতিমা তৈরির শেষ মুহুর্তেও কাজ শেষ করতে দিনরাত ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পীরা। এর সাথে চলছে সাজসজ্জ্বা ও শহরের প্রায় মোড়ে আকর্ষণীয় তোরণ নির্মাণের কাজ।
প্রতিবারের মতো এবারও জেলার সবচে বড় পূজার আয়োজন করেছে, জেলার প্রাচীনর মন্দির রিজার্ভ বাজার গীতাশ্রম মন্দিরে। পূজাকে ঘিরে নানা প্রতিযোগীতা আয়োজনের পাশাপাশি প্রদর্শন করানো হবে থিম ‘অকাল বোধন’। এছাড়াও বিভিন্ন দেবতার আরও ১০টি প্রতিমাও থাকছে ম-প ঘিরে। আইচ ভবন পূজা ম-পের ছয় দশক উদযাপনে যেমন বিশেষ সাজসজ্জা চলছে, তেমনি আয়োজনে পিছিয়ে নেই শত বছরের পুরানো তবলছড়ি রক্ষা কালী মন্দির পূজা ম-পের আয়োজকরা।
জেলার ৪০টি পূজা মন্ডপের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৪টি, কাপ্তাই উপজেলায় ৭টি, লংগদু উপজেলায় একটি ব্যক্তিগতসহ মোট ৪টি, নানিয়াচর উপজেলায় ১টি, জুরাইছড়ি উপজেলায় ১টি, বরকল ২টি, কাউখালী উপজেলায় ৪টি, বিলাইছড়ি উপজেলায় ১টি, রাজস্থলী উপজেলায় ৩টি ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৪টি। এ বছর নানিয়াচর উপজেলার বুড়িঘাট পূজাম-পে আয়োজন করা হয়নি দেবী আরাধনার। যার কারণে গতবারের চেয়ে এবার একটি পূজা কমেছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি অমর কুমার দে বলেন, সকল সম্প্রদায়ের সহযোগীতায় আমরা যুগ যুগ ধরে রাঙামটিতে পূজা আয়োজন করে আসছি। এবারও আশা করি সকলের সহযোগীতায় সুন্দর ভাবে উৎসব মুখর পরিবেশে শারদীয় উৎসব আমরা শেষ করতে পারবো।
রাঙামাটি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি আশীষ দাশগুপ্ত বলেন, পুজোর নিরাপত্তায় প্রশাসন আমাদের আশ^স্ত করেছেন। প্রশাসনের পাশাপাশি পূজা ম-পে আয়োজক কমিটিগুলো নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকের ব্যবস্থা করেছে। সকলের সমন্বয়ে আমরা পূজার সকল আয়োজন শেষ করতে পারবো বলে আশা করছি।
রাঙামটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ জানান, আইন-শৃঙ্খলা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতসহ সকল বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমরা ইতোধ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা করেছি। জেলা উপজেলায় মনিটরিং কমিটি করেছি, কন্টোলরুমও থাকছে। এক কথায় বলতে গেলে পুজোর পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও সকলের অংশগ্রহণে পুজোর আয়োজন করতে আমরা যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।
প্রসঙ্গত, আগামী ৩ অক্টোবর বোধনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে ৮ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয়া দুর্গা উৎসব।