কুয়াশা আফ্রোদিতি
‘বলিষ্ঠ কণ্ঠে ভাঙতে শোষণ,সাত দশকের ইতিহাস করেনি তোষণ’-এই শ্লোগানে অনুষ্ঠিত ২২ তম রাঙামাটি জেলা সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রইউনিয়ন।
সংগঠনটির এবারকার জেলা সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে প্রান্ত দেবনাথ রনি,সাধারন সম্পাদক নিউটন চাকমা ও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে তুর্ষ দত্তকে মনোনীত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে র্যালি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে ফের জমায়েত হয় শিল্পকলা মিলনায়তনে।
সেখানে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি রাঙামাটি জেলা সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা সমীর কান্তি দে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফয়েজউল্লাহ,সহসভাপতি ধীষন প্রদীপ চাকমা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি গৌরচাঁদ ঠাকুর, চট্টগ্রাম জেলার সাধারন সম্পাদক ইমরান চৌধুরী,দক্ষিন জেলার সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা সভাপতি জগদীশ চাকমা। বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ছাত্রইউনিয়ন নেতা সুনীল কান্তি দে, উদীচীর জেলা সভাপতি ও সাবেক ছাত্রইউনিয়ন নেতা অমলেন্দু হাওলদার, যুবইউনিয়নের জেলা সভাপতি ও সাবেক ছাত্রইউনিয়ন নেতা মিল্টন বিশ্বাস।
জেলা ছাত্রইউনিয়নের সভাপতি অভিজিৎ বড়ুয়া জিকুর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক প্রান্ত দেব নাথ রনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নিউটন চাকমা।
আলোচনা বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ এখন কঠিন সময় পাড় করছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, আইনশৃংখলা পরিস্থিতির নাজুক অবস্থা,বিচারহীনতার সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন দরকার দেশকে বিশে^র বুকে মাথা নীচু করে দিচ্ছে।
বক্তারা,দেশে ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে আনার দাবিতে বাম প্রগতিশীলদের আন্দোলন সংগ্রামে নৈতিক অবস্থান ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে আলোচনা সভার পর বিকেলে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটির দায়িত্ব পান রনি-নিউটন ও তুর্য।