রাঙামাটিতে চাষি পর্যায়ের আঞ্চলিক কর্মশালা

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চাষি পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের (২য় পর্যায়) এক আঞ্চলিক কর্মশালা রোববার অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাঙামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক মোঃ ছারওয়ার জাহান। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার উপ পরিচালক তরুন ভট্টাচার্য্যরে সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট রাঙ্গামাটি এর অধ্যক্ষ রমনী কান্তি চাকমা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার উপ পরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রকল্প পরিচালক মোঃ ছারওয়ার জাহান প্রকল্পের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। তিনি প্রকল্পের বিগত দিনের সাফল্যের ধারাবাহিকতা বর্ণনা করে বলেন, ভবিষ্যতে এই প্রকল্পটি আরও ৫বৎসরের জন্য সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে। ফসল উৎপাদনের অন্যতম উপাদান বীজ উল্লেখ করে বলেন মানসম্মত বীজের অভাবে আমাদের কৃষকরা ফসলের কাঙ্খিত উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হন। কৃষক পর্যায়ে ভাল মানের বীজ উৎপাদন ও তা এলাকায় সম্প্রসারণ করা গেলে মানসম্মত বীজের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব।
সভাপতির বক্তব্যে উপ পরিচালক তরুন ভট্টাচার্য্য বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এই প্রকল্পটি সারাদেশে প্রতিটি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর ফলে বিগত বছরগুলোতে কৃষক পর্যায়ে ভালমানের বীজ ধানের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে এই প্রকল্পটির আওতায় কৃষকদের আরও বেশি পরিমাণে উপকরণ সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ভাল মানের বীজের প্রাপ্যতা অনেকাংশে বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। সভায় অন্যান্য বক্তাবৃন্দ ভাল বীজের গুরুত্ব, উৎপাদন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের বাড়তি জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণ করার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বক্তব্য রাখেন।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আগামী বৎসর প্রকল্পের আওতায় কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক সুরজিত সাহা রায় ও সিনিয়র মনিটরিং অফিসার ফ.ম. মাহবুবুর রহমান কর্মশালার কারিগরি সেশন উপস্থাপনা করেন। অনুষ্ঠানে রাঙামাটি অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, হর্টিকালচার সেন্টার ও কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। (বিজ্ঞপ্তি)