কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে গত শনিবার(১৮ নভেম্বর) নবান্ন উৎসব উদযাপিত হয়। রাঙামাটি সদর উপজেলার বালুখালী ইউনিয়নের কাইন্দ্যা দোছড়ি পাড়ায় অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এ উৎসবে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কর্তৃক আমন ধান কর্তন করা হয় ও কৃষকদের মাঝে ইঁদুর দমন করার জন্য ল্যানির্যাট বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। জেলা প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিনামূল্যে ছাগলের পিপিআর ও গরুর অ্যানথ্রাকনোজ টিকা দেয়া হয়। জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে ৬জন পুকুর মালিককে পুকুরে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনের জন্য ইউরিয়া ও টিএসপি সার বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া আলোচনা পর্বে কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় রবি ফসল উৎপাদনে ও ফল বাগান ব্যবস্থাপনায় করনীয়, আধুনিক পদ্ধতিতে হাঁস-মুরগি পালন পদ্ধতি, লাভজনক মাছ চাষে করনীয় বিষয়ে উপস্থিত এলাকাবাসীকে বিস্তারিত পরামর্শ প্রদান করেন।
দিবসের প্রথমার্ধে সেবা ও সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রমের পর শুরু হয় বিনোদনের নানা আয়োজন। এর মধ্যে ছিল পাহাড়ি ঐতিহ্যবাহী ঘিলা খেলা, লাটিম খেলা, মেয়েদের দড়ি লাফিয়ে দৌড়সহ বিভিন্ন খেলাধুলা। এ সমস্ত আয়োজনের পর অনুষ্ঠিত হয় ছেলেমেয়েদের পরিবেশনায় গান, ছড়া ও কবিতা পাঠের আসর। উপস্থিত প্রায় তিন শতাধিক মানুষের জন্য কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, রাঙামাটির পক্ষ থেকে কলা পিঠা ও সিদ্ধ ডিম পরিবেশন করা হয়। রঙিন কাগজে, গানে গানে, পাহাড়ি বাহারি পোশাকে আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের অংশ গ্রহণে এলাকা মুখরিত হয়ে থাকে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত। এসমস্ত খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করেন এলাকার পুরুষ মহিলা ও ছেলে মেয়েরা। বালুখালী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান মেম্বার, সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার, প্রাক্তন মেম্বার, হেডম্যান, কার্বারিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণে নবান্ন উৎসব উদযাপিত হয়।
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে বিভিন্ন সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে এলাকার মানুষের সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন বিষযে সচেতনতাও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাঁদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন। প্রাণকাড়া আনন্দ, নির্মল বিনোদন, ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলা আর আদর আপ্যায়ন শেষে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, রাঙামাটি জেলা শাখার পক্ষ থেকে খেলাধুলায় বিজয়ী আর সাংস্কৃতিক পর্বে অংশগ্রহণকারী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাঝে বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেয়া হয়।