
রাঙামাটি শহরের একমাত্র কোরবানির পশুর হাটে এবার প্রায় তিনকোটি টাকার গরু বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো। শহরের পৌর ট্রাক টার্মিনালের এই হাট থেকে প্রায় এক হাজার ক্রয় বিক্রয় হয়েছে এবং এই হাটের ঘাট হয়ে আরো প্রায় পাঁচশতহ গরু জেলা শহরের বাইরে গেছে।
হাট ইজারা ও ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত সূত্রগুলোর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই হাট থেকে এবার সবচে বেশি দামে যে গরুটি বিক্রি হয়েছে তার দাম ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা,যেটি ক্রয় করেছেন কাপ্তাই হ্রদের মৎস ব্যবসায়ি মিন্টু। একক গরুর দামে মিন্টুর কেনা গরুটি সর্বোচ্চ দামি হলেওএকাধিক গরু ক্রয় করেছেন অনেকেই। গাছ ব্যবসায়ি মফিজ দুটি গরু ক্রয় করেছেন ১ লক্ষ ১০ হাজার ও ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকায়। সেই হিসেবে তার কেনা দুটি গরুর দাম ২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মো: মুছা মাতব্বর দুটি গরু ক্রয় করেছেন ৬৫ হাজার ও ৮৫ হাজার টাকা দামে। জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আসবাবপত্র ব্যবসায়ি আব্দুল ওয়াদুদ দুটি গরু ক্রয় করেছেন ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকায়। ব্যবসায়ি রফিক মাঝি একটি গরু ক্রয় করেছেন ১ লক্ষ ২৭ হাজার টাকায়। পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মনসুর আলী দুটি গরু ক্রয় করেছেন ২ লক্ষ ২ হাজার টাকায়। পরিবহন ব্যবসায়ি মঈনুদ্দিন সেলিম একটি গরু ক্রয় করেছেন ৮৫ হাজার টাকায়,জ্বালানি তেল ব্যবসায়ি মনিরুজ্জমান মহসিন রানা দুটি গরু ক্রয় করেছেন ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায়।
রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মো: শাহ আলম ৯০ হাজার টাকায়,জেলা যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাকিল ৯০ হাজার টাকায় একটি করে গরু কিনেছেন।
বর্তমান পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী ও সাবেক মেয়র সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ভূট্টো এই হাট থেকে গরু ক্রয় করেননি বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো।
তবে অনেক নেতা ও ব্যবসায়ি নিজেদের গরু জেলার লংগদু,বরকল,কাউখালি থেকে ক্রয় করেছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম সহনীয় ছিলো বলে জানিয়েছেন বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
রাঙামাটি শহরের একমাত্র কোরবানির পশুর হাটটির ইজারাদার শাওয়ালউদ্দিন জানিয়েছেন, হাসিল এর নির্ধারিত ফি থাকলেও এটা অনেক ক্ষেত্রেই মানা সম্ভব হয়নি,কারণ ক্রেতা বিক্রেতারা কম বেশি সবাই পরিচিত। ফলে আমরা ব্যবসায়িকভাবে খুব বেশি লাভবান হইনি। তবে এবার শহরে একটাই বাজার হওয়াটা ছিলো একটি ভালো সংবাদ।