পার্বত্য শহর রাঙামাটিতে করোনা সংক্রমন দিন দিন বাড়ছেই। শনিবার সকালে চট্টগ্রাম ভেটেনার ও এনিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় ( সিভাসু) থেকে আসা ৩৩ টি রিপোর্টের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ১৭ টিই পজিটিভ এসেছে বলে নিশ্চিত করেছে রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগ।
রাঙামাটি সিভিল সার্জন অফিসের করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ও মেডিকেল অফিসার ডা: মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, নতুন এই ১৭ জনের মধ্যে ১৫ জনই রাঙামাটি শহরের,১ জন বিলাইছড়ির এবং ১ জন কাউখালী উপজেলার।
এদিন আসা রিপোর্টে তিনদিন আগে চম্পকনগরের আইসোলেশনে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া আশীষ দাশের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি। অর্থাৎ উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেও আশীষ দাশ করোনা আক্রান্ত ছিলেন না। এর একদিন আগেই আসা আরেক রিপোর্টে চম্পকনগরের বাসিন্দা কবিতা ধরের রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছিলো। ফলে জেলায় করোনায় মৃত্যু ৬ জনই আছে এখনো।
গত ৬ মে জেলায় প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর জেলায় করোনায় আক্রান্ত হলেন ৩৬৩ জন। এদের মধ্যে শুক্রবার পর্যন্ত সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ১৬৫ জন। মারা গেছেন ৬ জন। এখনো আইসোলেশনে আছেন ৬ জন। বাকিরা নিজ নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।
স্বাভ্য বিভাগ জানিয়েছেন, করোনা শুরু হওয়ার পর এই পর্যন্ত জেলার ২,১৮৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে শনিবার পর্যন্ত রিপোর্ট এসেছে ২০৫৫ জনের। এখন পর্যন্ত আক্রান্তের হিসেব সবচে বেশি ঝুঁকিতে আছে রাঙামাটি শহর,যেখানে মোট শনাক্ত হয়েছে ২১৪ জন। অন্যদিকে ৭৫ জন নিয়ে শনাক্ত নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে কাপ্তাই উপজেলা। সবচে কম আক্রান্ত হয়েছে বরকল উপজেলায়।