রাঙামাটিতে একদিনে ৭ পুলিশ করোনা আক্রান্ত

নতুন করে আরো ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে রাঙামাটিতে। শনিবার রাতে দুই দফায় দুই স্থান থেকে আসা রিপোর্টে এই আক্রান্তের তথ্য পাওয়া গেছে। শনিবার আক্রান্তদের মধ্যে ৭ জন বেতবুনিয়ার রাবারবাগান চেকপোস্ট ও মানিকছড়ি চেক পোস্টের পুলিশ সদস্য বলে জানা গেছে।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ছুফিউল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, শনিবার আসা রিপোর্টে আমাদের বেতবুনিয়ার রাবার বাগান চেক পোস্টের তিনজন কনস্টেবল এবং মানিকছড়ি চেকপোস্টের ৩ জন কনস্টেবল ও একজন বাবুর্চিসহ সহ ৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা সেখানকার আক্রান্তদের আইসোলেশনে এবং অন্যান্যদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেছি। সেখানে দায়িত্ব পালন করার জন্য নতুন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।’ এর আগে শুক্রবার বেতবুনিয়া রাবার বাগান চেক পোস্টের আরো এক সদস্য আক্রান্ত হওয়ায় এই জেলায় মোট ৮ জন পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
এর আগে শনিবার রাত সাড়ে এগারোটায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বিশেষায়িত হাসপাতাল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) থেকে শনিবার রাতে যে ৩৯ জনের রিপোর্ট এসেছে, তার মধ্যে এই দুইজনের রিপোর্ট পজিটিভ মিলেছে। বাকি ৩৭ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ ছিলো।
এদের মধ্যে একজন রাঙামাটির শহরের প্রবেশপথ মানিকছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির একজন বাবুর্চি ও অন্যজন কাউখালী উপজেলার এক নারী।
এরপর রাত বারোটায় আসা চট্টগ্রাম ভেটেনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা মোট ৪৬ টি রিপোর্টের মধ্যে ৮ টি পজিটিভ এবং ৩৮ টি নেগেটিভ এসেছে। এই রিপোর্টে আক্রান্তদের ৩ জন পুলিশ মানিকছড়ি চেক পোস্টের, ৩ জন পুলিশ বেতবুনিয়া রাবার বাগান চেকপোস্টের, ১ জন রাঙামাটি শহরের টিএন্ডটি এলাকার এবং একজন লংগদু উপজেলার।
রাঙামাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডা: মোস্তফা কামাল শনিবার নতুন করে দশ জনের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই দশ জনসহ রাঙামাটিতে এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬। এদের মধ্যে প্রথম আক্রান্ত ৪ জন ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়েছেন এবং ১৪ দিনের চূড়ান্ত হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।
এর আগে ৬ মে রাঙামাটিতে প্রথমবারের মতো করোনা আক্রান্ত হন ৪ জন। এরপর ১২ মে ১ জন, ১৩ মে ৯ জন ,১৪ মে ১১ জন , ১৬ মে ১ জন, ১৯ মে ১৭ জন,২২ মে ৩ জন এবং ২৩ মে ১০ জন আক্রান্ত হলো করোনায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ছুফিউল্লাহ আরো বলেন, সারাদেশেই পুলিশ সদস্যরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এতদিন রাঙামাটিতে আমরা আক্রান্ত না হওয়ায় নিরাপদবোধটা বেশি ছিলো,কিন্তু আমরা সতর্কও ছিলাম। কিন্তু প্রতিদিনই ওখানে অসংখ্য মানুষকে চেক করতে হয়। তাইআক্রান্ত হতে হলো। কিন্তু দায়িত্ব থেকে থাকবে না,আমরা আমাদের কাজ করে যাব। দুটি চেকপোস্টই গুরুত্বপূর্ণ,তাই কাজ থেমে থাকবে না, আমরা সেখানে নতুন পুলিশ সদস্য নিয়োগ করছি।’