
জিয়াউল জিয়া ॥
রাঙামাটিতে অটোরিক্সা চালকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ, অপহৃত অটোরিক্সা উদ্ধার ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার ৩ দফা দাবি নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের পৌর চত্বর থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ঘন্টাব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভের কারণে প্রায় দু’ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়।
সমাবেশে জেলা অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পরেশ মজুমদার ও সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ হালিম বক্তরা রাখেন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি কবির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলাল হোসেন সুমনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
জেলা অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ হালিম বলেন, গত ১৫ নভেম্বর খাগড়াছড়ি থেকে ফেরার পথে রাঙামাটির নানিয়ারচরের ১৯ মাইল নামক এলাকায় অটোরিক্সা থামিয়ে চাঁদার টোকেন না থাকায় চালককে মারধর করে অটোরিক্সা (সিএনজি) রেখে দেয়। পরবর্তীতে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানালে সিএনজি পুড়িয়ে দেওয়াও হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসী পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জেলা অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পরেশ মজুমদার বলেন, ঘাগড়া-বড়ইছড়ি, মানিকছড়ি-মহলছড়ি ও আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কে চাঁদাবাজদের কারণে ওই সড়কগুলোতে চালকরা গাড়ি চালাতে পারছে না। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওইসব সড়কগুলোতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনের দাবি করছি। তিনি আরও জানান, আগামী রবিবার বা সোমবারের মধ্যে অপহৃত গাড়ি উদ্ধার করা না হলে পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণাও দেওয়া হয়।
সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।