করোনাকালীন সময়ে দুর্নীতি, অনিয়মের কথা তুলে ধরে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের যে প্রত্যাশা, সেটি প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকেই বলে আসছেন। কিন্তু এই সংকট সময়েও কিছু মানুষের আচরণ, দৃষ্টিভঙ্গি আমরা দেখেছি যেগুলো অমানবিক।’
তিনি বলেন, ‘সরকার করোনাকালীন সময়ে কিছু ইতিবাচক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। অথচ এই ইতিবাচক কার্যক্রমগুলো থেকেও বিশেষ গোষ্ঠী নানাভাবে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। আমরা দেখেছি কভিড সংকট নিরসনে সরকার বিদেশ থেকে মাস্কসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে এনেছে। কিন্তু এতে কিছু নেতিবাচক দিক ধরা পড়েছে। এসব ঘটনার পেছনে যারা মূলহোতা রাঘববোয়াল; তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেই যায়।’
শনিবার রাতে রাঙামাটি সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) আয়োজিত “করোনাকালীন সংকট : জন-প্রত্যাশা, চ্যালেঞ্জ ও করণীয়” সংক্রান্ত অনলাইন ভার্চ্যুয়াল সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম সর্ম্পকে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘সব সময়ই পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশেষ পরিস্থিতি বিরাজ করে। সে জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের বসবাসরতরা যেন সরকারের বিশেষ সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়, বৈষম্য সৃষ্টি না হয়; সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
রাঙামাটি সনাক আয়োজিত এই ভার্চ্যুয়াল সভার সভাপতিত্ব করেন জেলা সনাকের সভাপতি অমলেন্দু হাওলাদার ও সঞ্চালনা করেন সনাক সদস্য ও শিক্ষাবিদ নিরূপা দেওয়ান। আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেছেন- রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শিল্পী রানী রায়, রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন আক্তার, জেলা করোনা ফোকাল পারসন ডা. মোস্তফা কামাল, জেলা সনাকের সহ-সভাপতি ও শিক্ষাবিদ বাঞ্ছিতা চাকমা, শিক্ষাবিদ অঞ্জুলিকা খীসা, রাঙামাটি পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ মো. তাছাদ্দিক হোসেন কবির প্রমুখ।