মাহে রমজানকে সামনে রেখে রাঙামাটিতে কিছু পণ্যে দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতি। বেড়েছে ব্রয়লার ও মাছ মাংসের দাম। প্রতি বছর রমজান আসার আগেই রাঙামাটি শহরে কাঁচাবাজারে তরিতরকারি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যায়। বাজার নিয়ন্ত্রণ ও দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রশাসন দফায় দফায় মিটিং করার পরও নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে।
শহরের কাঁচাবাজার ও মাছ মাংসের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ১২০টাকা কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০শত টাকা, এছাড়াও বেড়েছে পিঁয়াজ, রসুন, ছোলা, ডাল, কাঁচামরিচসহ সকল প্রকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য। অপর দিকে সকল প্রকার ফলের দাম বেড়েছে।
এদিকে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে ইতিমধ্যে বৃহত্তর বনরূপা ব্যবসায়ি সমিতি ও হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির পক্ষ হতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তারা পুরো রমজানে রোজাদারদের সেবাসহ সাধারণ মানুষের সেবা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা নিজস্ব উদ্যোগে রমজান মাসে একটি মনিটরিং সেল তৈরি করে দ্রব্যমূল্য মনিটরিং করবেন বলে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াকে জানিয়েছেন।
ক্রেতারা বলেন, প্রতি বছর রমজান আসার আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যায়। প্রশাসন হার্ডলাইনে গেলেও যারা অসৎ ব্যবসায়ি তারা তাদের কাজ করে থাকেন। প্রশাসন যখন মাঠে যায় তখন তারা দ্রুত মালামালের দাম ক্ষণিকের জন্য কমিয়ে রাখেন। আবার প্রশাসন চলে গেছে যে সেই।
এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান চট্টগ্রামে দাম বাড়ায় স্থানীয় বাজারেও দাম বৃদ্ধি করতে বাধ্য হচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ ব্যাপারে সম্প্রতি জেলা প্রশাসন কর্তৃক মাহে রমজান উপলক্ষে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। ওই রিপোর্ট দেখে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন। যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বাজার দরের বাইরে গিয়ে রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।