বিশ্বের সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনায় রাঙামাটি নানিয়ারচর উপজেলার রত্নাঙ্কুর বনবিহারে দুইদিনব্যাপী ২৩তম দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে চীবর বুননের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই দানানুষ্ঠান শুক্রবার বিকেলে শেষ হয়েছে মহাদান কঠিন চীবর দানোৎসবে।
শুক্রবার সকালে সঙ্গীতশিল্পী জুলিপ্রু মারমার উদ্বোধনী ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে পঞ্চশীল প্রার্থনা, বুদ্ধ মূর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, কঠিন চীবর দান, কল্পতরু দান, আকাশ প্রদীপ দানসহ নানাবিধ দান উৎসর্গ করা হয়। পরে ভগবান বুদ্ধ ও সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের প্রতিচ্ছবিতে পুষ্পমাল্য প্রদানসহ ও ভিক্ষু সংঘকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন পূণ্যার্থীরা। বৌদ্ধদের এই সার্বজনীন কঠিন চীবর অনুষ্ঠানে দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো পূণ্যার্থীদের সমাগম ঘটে।
অনুষ্ঠানে আসা পুণ্যার্থীদের লেবুর শরবত পরিবেশন করেন ‘প্রিয় রাঙ্গামাটি’ সংগঠনসহ অন্যান্য সংগঠনের কর্মীরা।
বিশ্বের সকল প্রাণীর হিতসুখ ও মঙ্গল কামনায় পাঁচ মিনিট নিরবতা (ভাবনা) করেন পূণ্যার্থীরা। দুপুরে কল্পতরু ও কঠিন চীবরকে পুরো উপজেলা প্রদক্ষিণ করে আনন্দ শোভাযাত্রা করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে ৪ মহাস্থবিরকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সঙ্গীতশিল্পী রূপায়ন চাকমা, বনি চাকমা ও অভিনয় চাকমা। পঞ্চশীল প্রার্থনা পাঠ করেন পাহাড়িকা চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি কমল কান্তি দেওয়ান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলী রহমান তিন্নি, নানিয়ারচর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল সালাহ উদ্দিন।
ধর্মদেশনা প্রদান করেন, ফুরোমন সাধনাতীর্থ আন্তর্জাতিক বনধ্যান কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ ভৃগু মমহাস্থবির, রতœাংকুর বনবিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ বিশুদ্ধানন্দ মহাস্থবির, চিত্তারাম বনবিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ মৈত্রী লংকার মহাস্থবির, রাজবন বিহারের সিনিয়র ভিক্ষু ভদন্ত শ্রীমৎ মেত্তাবংশ মহাস্থবির।