আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগ ৬ টি উপজেলায় প্রার্থী দিবে। এর মধ্যে রাঙামাটি সদরে ২ জন,লংগদুতে ৫ জন,কাপ্তাইয়ে ৭ জন এবং রাজস্থলীতে ৫ জন প্রার্থী হলেও দুই উপজেলা বিলাইছড়ি এবং কাউখালি স্পষ্টত ব্যতিক্রম হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে। যে ৬ উপজেলায় প্রার্থী দিচ্ছে আওয়ামীলীগ তার ৪ টি ১৯ জন দলীয় মনোনয়ন চাইলেও ২ উপজেলায় মনোনয়ন চেয়েছেন ১ জন করে ২ জন প্রার্থী। ফলে নিজেদের উপজেলায় একক প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন তারাই পাচ্ছেন, এটা বলাই যায়।
কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ নিজেরা শলাপরামর্শ এবং সিদ্ধান্ত নিয়েই একজনকেই প্রার্থী হিসেবে সুপারিশ করেছে জেলা আওয়ামীলীগের কাছে। তিনি হলেন বেতবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামশুদ্দোহা চৌধুরী। এই উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন এমএম চৌধুরী,যিনি টানা তিনবার ফটিকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। মূলত: রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নিয়ন্ত্রন অংসুই প্রু চৌধুরীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ উপজেলার নেতাকর্মীরা নিজেরাই ঐকমতের ভিত্তিতে নিজেদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছেন।
অন্যদিকে কাউখালির মতো বিলাইছড়িতেও উপজেলা আওয়ামলীগ প্রার্থী হিসেবে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জয়সেন তঙ্গচঙ্গ্যাকেই চূড়ান্ত করে জেলা আওয়ামীলীগের কাছে সুপারিশ প্রেরণ করেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক ছাত্র জয়সেন তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা হিসেবে ইতোমধ্যেই সবশ্রেণীর মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর জানিয়েছেন, বিলাইছড়ি এবং কাউখালি উপজেলা থেকে আমরা একজন করেই নাম পেয়েছি,সুতরাং তারা দুজনই চূড়ান্ত বলাই যায়। তবে যেহেতু কেন্দ্র থেকেই চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়া হবে সুতরাং সেই পর্যন্ত অপেক্ষাই করতে হবে সবাইকে।’