পর্যটন বান্ধব পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে ‘মডেল সড়ক ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান’ চলছে রাঙামাটিতে। রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ ও পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্ব গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে এ অভিযান শুর হয়েছে।
শহরের জিরো পয়েন্ট (ডিসি বাংলো সড়ক) থেকে শুর হওয়া এই অভিযান প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পরিচালনা করছেন জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট ও পৌর সভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করা এই টিমটি ইতিমধ্যে শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে রিজার্ভ বাজার প্রধান সড়ক, ফিসারি বাধ, বনরূপা প্রধান সড়ক হয়ে জেলা শহরের মারী স্টেডিয়াম অতিক্রম করেছে। অভিযান পরিচালনা করার সময় অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯, ধারা ১০৮ এর ৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জারিমানা আদায় করা ছাড়াও অবৈধ ভাবে ফুটপাত ও রাস্তার ওপর রাখা বেশ কিছু নির্মাণ সামগ্রী বাজায়েপ্ত করাসহ সর্তক করা হয়। পৌরবাসী যাতে অবৈধভাবে রাস্তা বা ফুটপাত দখল করতে না পারে।
এই প্রসঙ্গে রাঙামাটির পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, পচনশীল বর্জ্য ও বাসাবাড়ির দৈনন্দিন বর্জ্য পরিষ্কার করা পৌরসভার দায়িত্ব। বাড়িঘর ভাঙা ইটের টুকরো, গাছপালা কাটার পর সেই আর্বজনার মত বজ্য পরিষ্কার করা পৌর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব না। এই সকল বর্জ্য ফেলে যেসব স্থানে ফুটপাত ও সড়ক দখল করা হয়েছে এবং অবৈধ ভাবে যারা দখল করে রেখেছে, সেসব স্থান দখলমুক্ত করতে জেলা প্রশাসক এবং পৌরকর্তৃপক্ষ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে শহরটা। আমরা এ শহরকে পরিষ্কার নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছি।’
যতদিন শহর পরিষ্কার হবে না, ততদিন এই অভিযান চলবে এমন কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, যদি এই সচেতনতা মূলক অভিযানে কাজ না হয় তাহলে আমরা আলোচনা সাপেক্ষে কঠোর অবস্থানে যাবো।
পরিবেশ কর্মী হেফাজত বারী সবুজ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই জেলা ও পৌর প্রশাসন রাঙামাটিকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে; এতে শহরের ফুটপাত দখল মুক্ত হচ্ছে। কিন্ত এধারা অব্যাহত না রাখলে এর সুফল আমরা পাবো না। আমরা চাই জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পৌরসভা এই ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখুক, আমরা যাতে একটি দখল মুক্ত ও পরিচ্ছন্ন নগরী পাই।’
তিনি বলেন, ‘আর সকল পৌরবাসীকেও সচেতন হতে হবে, তারা যেন কোন অবস্থাতেই ফুটপাত দখল করে ব্যবসা বা কোন বস্তু না রাখে। তবেই এ অভিযান সফল হবে।’