অরণ্য ইমতিয়াজ
যে কোন ঈদের ছুটিতেই ঈদের পরদিন হাজারো মানুষের পদভারে মুখর থাকে যে পর্যটন কমপ্লেক্স,সেখানেই যেনো আজ কবরের নীরবতা ! মহামারি কোভিডের কারণে সরকার ঘোষিত লকডাউন মেনে সবকিছুই বন্ধ রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের। ফলে এই জেলায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের অবিশ্যম্ভাবি গন্তব্যটিতে এখন কবরের নীরবতা।
শনিবার,ঈদের পরদিন দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেলো,কোথাও কেউ নেই ! বন্ধ বিশাল পর্যটন মোটেল,প্রধান গেটেই বড় তালা ঝুলছে। ঝুলন্ত সেতুতে প্রবেশের টিকেট কাউন্টারটিও বন্ধ,ঝুলছে নোটিশ। শুধু ছোট গেটটি খোলা আছে,গেটের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করে ওপাড়ের স্থানীয় এলাকাবাসির বসত ঘরে যেতে হয় বলে। কয়েকজন স্থানীয় কিশোর কিশোরীকে আড্ডা দিতে দেখা গেছে,তীব্র তাপদাহের মধ্যেই।
যে ঘাট থেকে ট্যুরিস্ট বোটে করে কাপ্তাই হ্রদে নৌ বিহারে যান,সেই বোটঘাটে বোটের কোলাহল নেই,ইঞ্জিনের শব্দ নেই, নেই তেমন কোন বোট,তালা ঝুলছে ইজারাদারের অফিসেও। যেনো অবিশ্বাস্য ঘটনা !
অথচ মৌসুমের যেকোন দিনের চেয়েও সবচে বেশি পর্যটক ও দর্শনার্থী হয়,এই পর্যটন কমপ্লেক্সে দুই ঈদের পরদিন। সাধারন রেকর্ড পরিমাণ স্থানীয় এবং বাইরের দর্শনার্থী আসেন এই সময়টাতেই। কিন্তু বিধি বাম। করোনা ঝড়ে লন্ডভন্ড সব।
রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানালেন,‘বছরের দুই ঈদের সময়টাতেই আমরা সবচে বেশি আয় করি। ঈদের পরদিন আমাদের সবচে বেশি পর্যটক আসেন। কম হলেও তিন থেকে পাঁচ হাজার টিকেট বিক্রি হয় এইদিন,মোটেলও সম্পূর্ণ বুকড থাকে। কিন্তু করোনার পর থেকে লকডাউনের সময়কালে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি আমরা। প্রতিমাসে অন্তত ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশ টাকার ক্ষতি হচ্ছে আমাদের। জানিনা,আসছে দিনগুলোতে কি হবে।’