মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে দিয়ে এবার নিজেই ধরা খেয়ে গেলেন মামলার বাদি। অতঃপর মামলার বাদি থেকে তিনি নিজেই হয়ে গেলেন আসামি। আর মিথ্যা মামলার শাস্তি হিসেবে আদালতও তাকে দিয়েছে ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। রাঙামাটি জুডিসিয়াল আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালতে রবিবার এই দন্ড দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জেলার নানিয়ারচর উপজেলার সাবেক্ষ্যং ইউনিয়নের মরাচেঙ্গীর মুখ এলাকার বাসিন্দা মন মিলন চাকমা ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল নানিয়ারচর থানায় ২৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। দন্ড বিধির ১৪৩/১৭১/৪৪৭/৪৪৮/৩৮০/৩৮৫/৫০৬ ধারায় এজাহার দায়ের করেছিলেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা না পাওয়ায় এজাহার নামীয় আসামিদের অব্যাহতি প্রদানসহ বাদির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় দন্ড বিধির ২১১ ধারায় নন.এফ.আই.আর প্রসিকিউশন দাখিলের জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চান। বিজ্ঞ আদালত ০২/০১/২০১৯ ইং তারিখে অনুমতি প্রদান করিলে নানিয়ারচর থানার নন.এফ.আই.আর প্রসিকিউশন নং-০১/২০১৯, তাং-১২/০১/২০১৯ ইং, দন্ড বিধির ২১১ ধারা দাখিল করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ০৬ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ উক্ত মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হওয়ায় রবিবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালতের বিচারক বেলাল হোসেন আসামি মন মিলন চাকমাকে দন্ড বিধি ২১১ ধারায় ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, ২৭ জনের বিরুদ্ধে মনমিলন চাকমার মামলার কোনও প্রমাণ না পাওয়ার পর আদালতের অনুমতিতে প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়েছে। থানায় অবস্থানের কারণে মামলার রায়ের বিষয়ে আপাতত তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।