মারা যাওয়া ২ জনসহ রাঙামাটির করোনা শনাক্ত এখন ৭৮
উপসর্গ নিয়ে মারা সদর ও কাপ্তাইয়ের দুইজন

রাঙামাটি শহরের ভেদভেদী বাজার এলাকার এক বৃদ্ধ করোনা উপসর্গ নিয়ে শনিবার (৬জুন) বিকালে মারা যাওয়ার পর সোমবার তার রিপোর্ট করোনা পজিটিভ এসেছে।
এছাড়াও ৩১ মে বিকালে কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের পূর্ব কোদালা গ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম রয়েল হাসপাতালের এক ব্রাদার মারা গিয়েছিল। তার রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে।
জেলায় প্রথম করোনায় এই দুইজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি সিভিল সার্জন অফিসের করোনা ফোকাল পার্সন ডা.মোস্তফা কামাল। আক্রান্তদের মধ্যে রেস্টহার্ট ও শালবাগান পুলিশ ক্যাম্পের ২ পুলিশ সদস্য,কাউখালীতে এক নারী স্বাস্থ্যকর্মী, কাপ্তাইয়ে উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া যুবক ও গ্রামীন ব্যাংকে কর্মরত আরেক যুবক,রাঙামাটি শহরের ভেদভেদী এলাকার করোনা উপসর্গ নিয়ে শনিবার মারা যাওয়া প্রবীন ও তবলছড়ি নীচের বাজারের এক নারী রয়েছেন। এদের সবার নমুনাই গত ৩ জুন সংগ্রহ করা হয়েছিলো।
তিনি আরো জানান, জেলায় এই দুইজনসহ আরো ৭ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে সদরে ৪ জন, কাপ্তাই ২ জন, কাউখালিতে ১ জন । এদের সবার রিপোর্টই এসেছে সিভাসু থেকে। এর আগে রবিবার রাতে খাগড়াছড়িতে বাঘাইছড়িতে প্রথম বারের মতো ১জনের করোনা পজিটিভ রির্পোট আসায় এইনিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত এখন ৭৮জন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদরে মারা যাওয়া বৃদ্ধ লোকটির ছেলের দোকানের এক কর্মচারীর করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। শনাক্ত হওয়ার পর থেকে তাদের পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তাদের পরিবারের সকলের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও বৃদ্ধার রিপোর্ট আসে মারা যাওয়ার একদিনপর। বৃদ্ধ লোকটি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন বলেও জানা যায়।
অন্যদিকে কাপ্তাইয়ে উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিটি ছিলেন থুইঅং প্রু মারমা (২৬)। তিনি চট্টগ্রামের রয়েল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স। এ স্বাস্থ্যকর্মী চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমিত হন বলে জানা যায়। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ছুটি নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন এবং গত ৩১ মে সেখানেই মারা যান।
করোনা উপসর্গ থাকায় স্বাস্থ্য বিধি মনেই দুই ব্যাক্তির দাফন ও সৎকার করা হয়েছিলো বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ও করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডা: মোস্তফা কামাল।