বিশ্বব্যাপি মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় খাগড়াছড়ির গুইমারা সেনা রিজিয়নের পক্ষ থেকে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, হতদরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে প্রধান প্রধান সড়কে চলাচলে শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে করোনা আক্রান্তদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড স্থাপনে তদারকিসহ বিভিন্ন জনহিতকর কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। সেনা কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসনের সাথে এক যোগে কাজ করছেন। গুইমারা রিজিয়নের আওতাধীন বিভিন্ন সেনা জোনের পক্ষে কর্মহীন গরীব খেঁটে খাওয়া হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
গুইমারা সাব জোন অধিনায়ক মেজর জুনায়েদ বিন কবির স্থানীয় সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক সহযোগিতায় সোমবার (২০,এপ্রিল) রামগড় চেকপোষ্ট ও বাজার এলাকায় জনগণকে সতর্ক থাকার আহŸান জানিয়ে সাধারন মানুষের সামাজিক দুরুত্ব ও হোম কোয়ারাইন্টানের গুরুত্ব তুলে ধরেন। পরে রেডক্রিসেন্ট কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যার বিষয়ে অবগত হন এবং সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এ সময় রামগড় এসি ল্যান্ড সজিব রুদ্র, থানার ওসি সামসুজ্জামান, লে. সাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া দুর্গম পার্বত্য এলাকার প্রত্যন্ত পল্লীতে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছেন সেনাবাহিনী। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে চাল, আলু, ডাল, তেল, পিঁয়াজ, লবন, সাবানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী রয়েছে।
মেজর জুনায়েদ বিন কবির সাংবাদিকদের বলেন, আয়-রোজগারহীন গরীব নিরীহ মানুষদের এই দুর্দিনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া সেনাবাহিনীর দায়িত্ব। বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতার এ ধারা অব্যাহত রাখতে সেনা কর্তৃপক্ষ সবসময় প্রস্তুত বলে তিনি উল্লেখ করেন। এদিকে গত শনিবার রামগড় উপজেলায় স্থানীয় স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে সেনা কর্মকর্তা ও কর্তব্যরত ডাক্তারদের সমন্বয়ে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মেজর জুনায়েদ বিন কবির এখানে সভাপতিত্ব করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, রামগড় স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. জিনাত রেহানা, ডা. ক্যাপ্টেন জুবায়ের, লে. সাদ ও স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক বৃন্দ। চিকিৎসক ও রোগীদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত বিষয়ে এখানে আলোচনা হয়। উল্লেখ্য, ১২ শয্যার একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড স্থাপন করা হয়েছে এখানে।
অন্যদিকে খাগড়াছড়ির প্রবেশমুখ রামগড়ের সোনাইপুল ও মানিকছড়ির গাড়িটানা এলাকায় শতশত মানুষের আগমন নিয়ন্ত্রণে সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে সেনাবাহিনী নিরলস ভাবে কাজ করছেন। লক্ষীছড়ির দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন সেনাবাহিনী। গুইমারা, মাটিরাঙ্গাসহ জেলার সবর্ত্র সিভিল প্রশাসনের পাশে থেকে সেনাবাহিনী কাজ করছেন।