রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় মাদকের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান বলেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে ছাত্র এবং যুব সমাজকে রক্ষা করা না গেলে তা সমাজের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। সন্তান যাতে মাদকে আসক্ত হয়ে না পড়ে সেদিকে অধিক সজাগ থাকার জন্য তিনি অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান।
বৃহস্পতিবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রসঙ্গক্রমে একথা বলেন জেলা প্রশাসক।
মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার রোধসহ মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, এই বিষয়ে কাউকে কোন ছাড় নেই। মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই চলবেই। তিনি বলেন, রাঙামাটির বিভিন্ন অভিজাত ক্লাবগুলোতেও মাদকের কেনা বেচার অভিযোগ আছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে শহরের বিভিন্ন ক্লাবগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযান পরিচালনাকালে অনেক সভ্রান্ত এবং নামী ব্যক্তিদেরও ক্লাবে মদ্যপান করতে দেখা গেছে। মোবাই কোর্ট প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী তাদের শাস্তি প্রদান করেছেন। জেলা প্রশাসক বলেন, অনেকে বলে থাকেন পার্বত্য চট্টগ্রামে দেশীয় মদ খাওয়ার বিষয়ে কোন বাধা নেই। তবে এটি সঠিক নয়। আপনারা ঘরে বসে মদ পান করেন তাতে আপত্তি নেই কিন্তু পাবলিক প্লেসে বসে মদ খাবেন সেটি আইনত অপরাধ। এই সময় পাশে উপস্থিত সিভিল সার্জনকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ঔষধ হিসাবে যদি কারো এ্যালকোহল পান করতে হয়, তাহলে সিভিল সার্জন সাহেবের পারমিশন নিতে হবে এবং এই পারমিশন পেপার সাথে নিয়ে ঘুরতে হবে।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা নিজেদের মাদক মুক্ত রাখবে। যদি দেখ কেউ মাদক ব্যবহার করছে কিংবা বিক্রি করছে তাহলে জেলা প্রশাসনের ফেইস বুকের ইনবক্সে জানাবে। আমরা সাথে সাথে অভিযান করে এইসব মাদক সেবী এবং মাদক বিক্রেতার বিরুদ্ধে অভিযান চালাবো।