খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
‘মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যু রোধে বাল্য বিবাহ রোধ করতে হবে’ -বলে মন্তব্য করেছেন খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডা: নুপুর কান্তি দাস। তিনি বলেন, অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণ প্রতিরোধ, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ, মাতৃমৃত্যু প্রতিরোধসহ বিভিন্ন নেতিবাচক অবস্থা থেকে কিশোর-কিশোরীদের নিরাপদ রাখার জন্য আমাদের কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ে গুরুত্বারোপ করতে হবে।
আমাদের জীবন, আমাদের স্বাস্থ্য, আামদের ভবিষ্যৎ প্রকল্পের আওতায় কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার এবং পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাদের জন্য আয়োজিত ও রিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্ত্যবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রবিবার সকালে ইকোছড়ি-ইন কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ ও সিমাভী’র সহযোগিতায় ৩ দিনের ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচি শুরু হয়।
জাবারাং, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা এবং খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি সদর, পানছড়ি, দিঘীনালা, মহালছড়ি ও গুইমার াউপজেলার ২৮ জন অংশগ্রহনকারী অংশ নেন।
খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক শেফালীকা ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের প্রজেক্ট ম্যানেজার সঞ্জয় মজুমদার, জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রিপন চাকমা। উদ্বোধনী পর্বটি সঞ্চালনা করেন জাবারাং এর প্রকল্প সমন্বয়কারী দয়ানন্দ ত্রিপুরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নুপুর কান্তি দাস আরো বলেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাসমূহ স্বাস্থ্য ও কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্নভাবে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। তৎমধ্যে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায়“ আমাদের জীবন, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের ভবিষ্যৎ” প্রকল্পের আওতায় ৯০টি কিশোরী ক্লাবে ৩,৬০০ জন কিশোরী ও যুব নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারা কিশোরীদের পাশাপাশি তাদের বাবা-মা, ভাইসহ অন্যান্যদের এ বিষয়ে সচেতন করছে।
তাদের এ কার্যক্রম সমাজের কিশোরী ও যুব নারীদের স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা তৈরি ও ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাদের এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রকল্প এলাকার আমাদের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সংশ্লিষ্ট স্টাফদের জন্য ওরিয়েন্টেশন আয়োজন করছে। সরকারের কাজের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা সমূহের এ ধরণের কার্যক্রম আমাদের সেবা প্রদানকারী সংশ্লিষ্ট স্টাফদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ভূমিকা রাখবে।”