
জিয়াউল হক ॥
পার্বত্য অঞ্চলে সকল ভাষাভাষীদের প্রয়োজনী শিক্ষা উপকরণ সুনিশ্চিত করা, দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্ব স্ব মাতৃভাষায় শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর দাবিতে রাঙামাটিতে মানববন্ধন করেছে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)। শনিবার সকালে রাঙামাটি সরকারি কলেজের সামনে ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক অনন্ত চাকমার সঞ্চালনায় এবং সভাপতি সুমন চাকমার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্রনেতা পিসিপি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি সুমন মারমা, যুব সমিতি রাঙামাটি জেলা কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর ত্রিপুরা (নান্টু), হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শান্তিদেবী তঞ্চঙ্গ্যা, পিসিপি, রাঙামাটি জেলার সহ-সভাপতি জিকো চাকমা, রাঙামাটি সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সোনারিতা চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুনীতি বিকাশ চাকমা। মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় দেড়শত শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে পিসিপি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্রনেতা সুমন মারমা বলেন, ভাষা মানুষের মৌলিক অধিকার। বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা নিজেদের মাতৃভাষাকে রক্ষা করেছেন তারাই আজ স্বাধীন দেশের পাহাড়িদের মাতৃভাষাকে উপেক্ষা করে চলেছেন। তাদের ভাষা সংরক্ষণ ও প্রাথমিক পর্যায় পর্যন্ত মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভ করতে পারছে না। ২০১০ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতিতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসমূহের মাতৃভাষা প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষা লাভের কথা বলা থাকলেও বাস্তবে তার কোনটির প্রতিফলিত হচ্ছে না।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে ১২টি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে শুধুমাত্র চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীদের মাতৃভাষার বই ছাপিয়েছে। কিন্তু এগুলো পড়ানোর জন্য দক্ষ শিক্ষক নিয়োগের কোন ব্যবস্থা করেনি। যার কারণে সরকারের এ উদ্যোগ চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা শিশুদের কাজে আসছে না। অন্যদিকে বাকী ৯টি ক্ষুদ্র ভাষাভাষী শিশুদের জন্য মাতৃভাষার শিক্ষা ব্যবস্থা করার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।