
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ‘সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্প’ এর তিন পার্বত্য জেলায় কর্মরত মাঠ সংগঠক ও পাড়াকর্মীদের চাকুরি বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে মাঠ সংগঠক ও পাড়াকর্মীরা।
বুধবার দুপুরে রাঙামাটি সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এ দাবি জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পাড়া কর্মী সংগঠক প্রীতিলতা চাকমা (দীঘিনালা)। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাঠ সংগঠক ও পাড়াকর্মী চন্দনা চাকমা (দিঘীনালা), সুজিতি চাকমা (মহালছড়ি), মিংকি চাকমা (খাগড়াছড়ি সদর) ও অন্যরা।
লিখিত বক্তব্যে প্রীতিলতা চাকমা চাকমা বলেন, ‘তিন পার্বত্য জেলায় পাড়া কেন্দ্রের শুরুতেই নিয়োগের পর থেকে দীর্ঘ সময় ধরে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে গ্রামীণ সমাজের বেড়ে উঠা ছোট ছোট শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দিয়ে শিক্ষার প্রথম স্তরকে মজবুত করে আসছি নূন্যতম সম্মানী ভাতা নিয়ে। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এই পাড়া কেন্দ্রের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে আসছি। জাতীয় শিক্ষার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে শুরু থেকেই প্রতিমাসে ৫’শ টাকা করে ভাতা ভোগ করে আসছি। ক্রমায়নে বাড়তে বাড়তে বোর্ড কর্র্তৃপক্ষ দীর্ঘ সময় পড়ে তা সাড়ে তিন হাজার টাকায় উন্নিত করেছে। অথচ বর্তমানে সম্মানী ভাতা নিদিষ্ট অংকের থাকলেও তা আমরা নিয়মিত পাচ্ছিনা। কিন্তু এসব পাড়া কেন্দ্রে আমাদের খেয়ে না খেয়ে যথা নিয়মেই কাজ চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বোর্ডের অধীন বর্তমানে নতুন প্রকল্প ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প’র আওতাধীন তিন পার্বত্য জেলায় নতুন করে মাঠ সংগঠক ও পাড়াকর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। যেখানে বর্তমানে কর্মরতদের বাদ দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নতুন নিয়োগে পুরাতনদের অর্থাৎ কর্মরতদের বয়স সীমার অজুহাতে চাকুরি হতে বিতারণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
লিখিত বক্তব্যে প্রীতিলতা বলেন, ‘সম্প্রতি বোর্ডের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা কর্মচারি নিয়োগে ১৮ থেকে ৫৭ বছর বয়স সীমা করা হলেও আমাদের বেলাতে ৪০ বছর বয়স করা হয়েছে। আমরা এর সাথে দ্বিমত পোষণ করে তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য গণতান্ত্রিক পন্থায় যেকোনো উপায়ে আন্দোলনে যেতেও প্রস্তুত রয়েছি আমরা।’
সংবাদ সম্মেলন শেষে তিন পার্বত্য জেলায় কর্মরত ৪ হাজার ৪০০ মাঠ সংগঠক ও পাড়া কর্মীদের চাকুরি বহাল রাখার দাবিতে রাঙামাটির জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।