মাঠ আছে খেলা নাই, কিশোররা চার দেয়ালে বন্দী , কোন মাঠেই নেই কিশোরদের দুরন্তপনা। যে দৃশ্য কখনও কেউ ভাবেনি বা দেখেনি ঠিক সেই দৃশ্যই সবাইকে দেখাতে ও ভাবাতে শিখিয়েছে করোনা নামক অদৃশ্য এক শক্তির প্রভাব, যা আজ মানব জাতির জন্যই হুমকি।
রাঙামাটির সকল মাঠ যেখানে সারাক্ষন খেলা হতো বা শহরের কোন খালি জায়গা পেলেই পাড়ার কিশোররা নেমে যেত দুরন্তপনায় আর তাদের পছন্দমত খেলায়। যেসব স্থান এখন দিনরাত সমান, শুধুই নীরবতা! নেই কোন খেলা বা কিশোরদের দৌঁড়ঝাপ। সকল ধরনের খেলা বন্ধ রয়েছে জেলায়। এমনকি কোন মানুষও অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে পারছে না। কিশোররা খেলা বাদ দিয়ে বাড়িতেই দিন অতিবাহিত করছে।
এমন এক একটি দিন তাদের কাছে এক বছরেরও বেশী মনে হয়। চার দেয়ালে বন্দী থাকা আসলেই অনেক কষ্টের তেমনটিই জানালো করোনায় ঘরবন্দী কিশোররা।
ছোটন নামে এক কিশোর জানালো, করোনা আসছে আর আমাদের সব খেলা বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের সারাদিন বাসায় থাকতে একদমই ভালো লাগে না।
আবির হাসান বলেন, কখন যে আবার প্রাণভরে মাঠে খেলতে পারবো, জানি না। এক একটা দিন নিজের কাছে একেক বছরের মত মনে হয়।
মো: নাঈম বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাবতাম কখন খেলতে যাব, আর এখন সব অন্যরকম হয়ে গেছে। মাঠে যেতে চাই, মুক্তি চাই এমন বন্দীদশা থেকে।
রবিউল আলম নামের একজন বলেন, বাড়ি থেকে বের হতে চাইলেই মা-বাবা বকা দেয়। জানি কিছুই করার নাই। আমাদেরকে সুস্থ্ রাখার জন্যই এমনটা করছে। কবে আবার সব ঠিক হয়ে যাবে, বুঝতে পারছি না।
ছোটন, আবির,নাঈম বা রবিউল’ই কেবল নয় পার্বত্য জেলা রাঙামাটি জেলার শহর ছাড়িয়ে দুরগ্রাম সর্বত্রই একই চিত্র। শুধু কি রাঙামাটি ? দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা’ই শুধু নয়, বিশ্বের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত সর্বত্রই মানুষ এখন বিপন্ন অসহায় এক ভাইরাসের কাছে। ছেলেবুড়ে সবার আলসে দিন কাটছে ঘরবন্দী। তবুও আশা কি ফুরোয় ?
দিন শেষে সুর্য আবার হাসি দিয়ে উঠবেই, করোনা নামক অশুভ জীবানু ধংস হবেই। কিশোররা ফের মাতবে দুরন্তপনায়, প্রাণহীন মাঠ ফিরে পাবে প্রাণ, এমনটাই তো প্রত্যাশা সবার।