
বান্দরবানে সরকারী মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবনের উন্নয়ন কাজে রডের সঙ্গে বাঁশ ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে শ্রমিকেরা দেয়াল মজবুত করতেই বাঁশের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি করলেও অভিযোগ উঠায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। বুধবার বিকালে সরেজমিনে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকরা জানায়, পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে প্রায় ৮১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জেলা সদরের বালাঘাটায় বান্দরবান সরকারী মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবনের উর্ধমুখি সম্প্রসারনের উন্নয়ন কাজ চলছে। স্থানীয় ঠিকাদার তাপস দাশ উন্নয়ন কাজটি বাস্তবায়ন করছে। উন্নয়ন কাজে একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় বিজ্ঞানাগারে দেয়াল নির্মাণে (ড্রপ ওয়াল) নির্মাণে রডের সঙ্গে বাঁশ ব্যবহার করা হচ্ছে। খবর পেয়ে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, নির্মাণ কাজের শ্রমিকরা দেয়াল ঢালাই দেয়ার আগে রডের সঙ্গে বাঁশের লম্বা লম্বা ফালি বেধে দিচ্ছে। অনেক স্থানে লোহার পরিবর্তেই বাশ দেয়া হচ্ছে। গনমাধ্যমকর্মীরা উন্নয়ন কাজে বাঁশ ব্যবহারের ছবি তোলার পর টনক নড়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের। পরক্ষণেই কলেজ কর্তৃপক্ষ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক কয়েকজন কলেজ শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, দেয়ালে বাঁশের ব্যবহার বন্ধ করতে শ্রমিকদের অনেকবার বলা হলেও ঠিকাদার তাদের কথাই শোনেননি। বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখেও না দেয়ার মত করে চুপ ছিলেন। নির্মাণ কাজের শ্রমিক আলী হোসেন গনমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ঢালাইয়ে সিমেন্ট ধরে রাখতে এবং দেয়াল শক্ত মজবুত করতেই রডের সঙ্গে বাঁশ ব্যবহার করা হচ্ছে।
উন্নয়ন কাজের ঠিকাদার তাপস দাশ বলেন, রডের পরিবর্তে বাঁশ দেয়া হচ্ছেনা। দেয়ালটি ঠিকসই করতে লোহার সঙ্গে বাঁশ ব্যবহার করা হচ্ছে। শ্রমিকরা আমাকে তাই বলেছে, আমি বর্তমানে চট্টগ্রামে আছি। তবে আমি বাঁশ খুলে ফেলতে বলেছি।
এদিকে কলেজের উন্নয়ন কাজে রডের সঙ্গে বাঁশের ব্যবহার নিয়ে মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রী’সহ কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের নিরাপত্তা চিন্তা করে উন্নয়ন কাজটি বন্ধ করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রদীপ বড়–য়া বলেন, রডের সঙ্গে বাঁশ ব্যবহারের কাজটি মোটেও ঠিক হয়নি। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কাজ করা উচিত নয়। আমরা কাজটি বন্ধ করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবানের সহকারী প্রকৌশলী নুর হোসেন জানান, আমরা ঠিকাদারকে বাঁশ ব্যবহার করতে বলিনি। এটি হয়ত শ্রমিকরা না বুঝে করেছে। তবে বাঁশ খুলে ফেলার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আবার জাতিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র…..
সব শালারা চোর