বুধবার বিকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সভা কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও জন প্রতিনিধিদের সাথে মত বিনিময় সভায় বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন অংশগ্রহণকারিরা।
স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী সিভিল সার্জান ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী বলেন, রাঙামাটিতে এখনো ৬৯টি ডাক্তারের পদ খালি রয়েছে, যা প্রস্তাবিত পদের প্রায় অর্ধেক। এখানে ডাক্তার বদলি হয়ে এলেও কাজে যোগদান না করে বিভিন্ন তদবিরের মাধ্যমে বদলি হয়ে চলে যায়। যে কারণে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া রাঙামাটি সদর হাসপাতালেও রয়েছে আসন সংকট।
তিনি বলেন, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে মহিলা ওয়ার্ডের ছাদে ফাঁটল হওয়ার কারণে নারীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু অচিরেই এ সমস্য সমাধান করা হবে বলে।
বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদার বলেন, জনস্বাস্থ্য বিভাগের কাছে পানি সরবরাহ বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ৬ কোটি টাকা। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় চাপ। এ বিষয়ে সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা বলেন, আমাদের পানি সরবরাহ করার জন্যে ৪টি পাম্পের মাধ্যমে দুইটি পানি শোধনাগারের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হয়। উঁচু নিচু ভূমির কারণে চারটি বুস্টার পাম্পের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে পানি পৌঁছে দিতে হয়। যার কারণে আমাদের প্রায় চারগুণ বিদ্যুৎ খরচ হয়। সে জন্যে আমাদের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। মাননীয় সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের মিটিং এ আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিলগুলো সমন্বয় করা হয়।
রাঙমাটি মেডিকেল কলেজের কর্মকর্তা বলেন, রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের জায়গা অধিগ্রহণের নির্ধারিত ৯১ কোটি টাকার মধ্যে কিছু অংশ পেয়েছি, কিন্তু বাকি টাকা ছাড় না পাওয়ায় জমি মালিকানা বুঝে নিতে পারছি না। তাই সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, কোন কাজ করতে লেগে থাকতে হয়, জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করুন, আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে দ্রুত প্রদক্ষেপ নিবো।
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা বলেন, প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চলছে। আমরা আশা করছি আগামী জুনের মধ্যে আমাদের নির্ধারিত স্থানে অস্থায়ী ভাবে একাডেমি কার্যক্রম শুরু করতে পারবো। সেখানে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করা জন্যে পুলিশের একটি ফাঁড়ি স্থাপনার জন্য দাবি জানান তিনি।
পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবীর বলেন, রাঙামাটি শহরের মধ্যে একটি মাত্র যানবাহন ব্যবস্থা রয়েছে যা দিয়ে এখানকার মানুষ চলাচল করে। শহরে বিকল্প যানবাহনের জন্য চিন্তা করা প্রয়োজন এবং এ প্রসঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন।
1 Comment
বিকল্প যানবাহন প্রয়োজন।