নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
জেলা ক্রীড়া সংস্থা বা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজনে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অ্যাম্পায়ার হিসেবে রাঙামাটির মাঠে দেখা না গেলেও আম্পায়ার এসোসিয়েশনের কমিটি গঠনের সময় ঠিকই দেখা যায় এমন আম্পায়ারদের! গত ১২ ফেব্রুয়ারি শনিবার জেলা ক্রীড়া সংস্থায় রাঙামাটি জেলা আম্পায়ার এসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠনে কাউন্সিল হয়। উপস্থিত ছিল মোট ১৮ সদস্য যাদের মধ্যে একাধিকজন আছে যারা বিগত দশ বছরেও বেশিসময় ক্রিকেট ম্যাচ পরিচালনার জন্য মাঠে নামে নাই বা পালন করেন নাই কোন পর্যায়ের ক্রিকেট ম্যাচ। তারা শুধু উপস্থিত হয়েছিলেন কমিটির ভোট প্রদানের জন্য! বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আম্পায়ারদের নেই নির্দিষ্ট কোন সদস্য ফরমও।
নিয়মিত অনেক আম্পায়ার এতে বিস্ময় প্রকাশ করেন এমনকি তারা যে আম্পায়ার সেটাই জানা ছিল না বলে জানান। এতো দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে থাকার কারণে ক্রিকেটের নতুন নিয়ম ও নিয়মিত আম্পায়ারদের চাহিদা সম্পর্কে অবগত নাও থাকতে পারেন তারা। একই সাথে বলেন, তাঁরা সিনিয়র হলেও যদি নিয়মিত আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করে তাহলে তাদের ভোট প্রদান যৌক্তিক, অন্যথায় নয়। ক্রিকেট ম্যাচ পরিচালনার কোন অভিজ্ঞতা নাই আছেন এমন আম্পায়ারও।
তবে মাঠে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করলেও ভোট দিতে আসেন শুধু নিজেদের পছন্দনীয় প্রার্থীদের কমিটিতে নির্বাচিত করার জন্য। এমনটাই অভিযোগ নিয়মিত আম্পায়ারদের। মুলত কমিটিতে স্থান পেতে প্রার্থীরাই দীর্ঘদিন মাঠে অনুপস্থিত থাকা আম্পায়ারদের কমিটি গঠনের সময় ভোট দিতে অনুরোধ করে নিয়ে আসে। এর মধ্যে দিয়ে কারা নির্বাচিত হবেন তার ফলাফল নির্ধারিত হয়।
সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি নিপুন চাকমা বলেন, আম্পায়ার আসলে রাঙামাটিতে কারো পেশা না তাই কেউ সময় দিতে পারে কেউ পারে না। ১ বছর ২ বছর পর পর হয়তো সময় দেয়।
সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন ছোটন বলেন, আম্পায়ার ট্রেনিংয়ে পাশ করার পর আমাদের কাউকে আর বাদ দেয়া হয় না। সে হিসেবে সকলেই সদস্য।
বিগত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসে রাঙামাটি জেলা আম্পায়ার এসোসিয়েশনের।