
৪র্থ ধাপে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটি পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র ও
কাউন্সিলরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন শেষদিনে। তবে নির্বাচনী আচরনবিধি ভঙ্গ করে, বড় বড় দল বেঁধে, অনেক
প্রার্থীই বড় ধরনের শোডাউন নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে দেখা গেছে,যা নির্বাচন কমিশন ঘোষিত নীতিমালার ‘ব্যত্যয়’,বলছেন সংশ্লিষ্টরা ।
শুধু মেয়র প্রার্থীরাই নয়, দল বেঁধে,বড় বড় জমায়েত নিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন অনেক কাউন্সিলর প্রার্থীও। এনিয়ে খোদোক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের,উষ্মা জানিয়েছেন উপস্থিত অনেক ভোটার এবং সমর্থকও। তবে নির্বাচনী আচরন বিধি না মানার প্রবণতায় এগিয়ে ছিলেন ক্ষমতাসীন দলের সমর্থিত কিংবা মনোনীত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরাই। তবে এসব প্রার্থীরা কেউ কেউ দাবি করেছেন, মূলত অতি উৎসাহি সমর্থকরা চলে আসায় বিড়ম্ভনা তৈরি হয়েছে, এসব কোনটাই পরিকল্পিত ‘শোডাউন’ নয় এবং ভবিষ্যতে তারা এইসব বিষয়ে আরো সতর্ক থাকবেন।
রবিবার শেষ দিনে সিনিয়ন জেলা নির্বাচন অফিস ও রিটার্নিং কর্মকর্তার
কার্যালয়ে মেয়র পদে প্রার্থীরা দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে এবং
কাউন্সিলররা সমর্থকদের নিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, পৌর নির্বাচনের জন্য মেয়র পদে ৫জন ও
সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৩ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের জন্য ২০টি ফরম
জমা দিয়েছেন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আকবর হোসেন চৌধুরী, বিএনপি প্রার্থী মামুনুর রশিদ, জাতীয় পার্টি থেকে প্রজেশ চাকমা, বিপ্লবীওয়ার্কার্স পার্টির আব্দুল মান্নান (রানা) এবং স্বতস্ত্র প্রার্থী হিসেবে অমর কুমার দে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। অমর কুমার দে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।
এদিকে রবিবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র পদের প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছে দলটি। ইসলামী আন্দোলনের মেয়র পদের প্রার্থী মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সকল কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা সকল কাগজপত্র ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে এবং আমাকে তারা মারধরও করেন। পরে আমি রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করি। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী থানায় অভিযোগ করি এবং বিষয়টি রাঙামাটি সিনিয়ন জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করি। আমরা এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কে বা কারা ঘটনা ঘটিয়েছে সেই বিষয়ে কাউকে চিনতে পারেননি বলে জানান তিনি।
রাঙামাটি সিনিয়ন জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শফিকুর রহমান জানান, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ইভিএমের মাধ্যমে ৩১টি ভোটকেন্দ্রে ৬২,৮৮৪ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। প্রার্থীদের মনোনয়নের শেষ দিন আজ। আগামী ১৯ জানুয়ারি প্রার্থিতা বাছাই করা হবে। তিনি আরো জানান, ইভিএম ভোট প্রদান করা সহজ এবং একই সাথে ভোট গ্রহণ শেষে দ্রুত ফলাফলপাওয়া যায়। যেসব ভোটকেন্দ্র রয়েছে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে আমরা মক ভোটিং এর ব্যবস্থা করবো যাতে ভোট প্রদানের আগে ভোটাররা ইভিএম সম্পর্কে ধারনা নিতে পারেন। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, থানায় অভিযোগের একটি কপি আমাদের দিয়েছেন কিন্তু নতুন করে আর মনোনয়ন পত্র দেয়ার কোন সুযোগ নেই।