আগামী ৫ আগস্ট সারাদেশের ন্যায় রাঙামাটিতে ১৩২৫টি কেন্দ্রে এক যোগে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মোট ৮৫১৮৭ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। বুধবার বিকেলে জেলা সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষে সিভিল সার্জন ডাঃ শহীদ তালুকদার এসব তথ্য জানান।
সিভিল সার্জন জানান, সারাদেশের মত রাঙামাটি জেলা সদর ও অন্যান্য উপজেলায়ও মনিটরিং টিম থাকবে। এবং পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় পর্যন্ত শিশুদের মধ্যে কেউ যেন বাদ না যায় সে ব্যাপারে আমরা দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাবে।
সিভিল সার্জন বলেন, ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে শিশুরা নানান রকম রোগে ভুক্তভোগী হয়। তাই আমাদের উদ্দেশ্য ৬ থেকে ৫৯ বয়সী শিশুদের মধ্যে ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগের প্রাদুর্ভাব এক শতাংশের নিচে কমিয়ে আনা এবং তা অব্যাহত রাখা। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অপুষ্টিজনিত মৃত্যু প্রতিরোধ করা।
শহীদ তালুকদার জানান, এদিন জেলার ১০টি উপজেলায় ও এক পৌরসভায় মোট ৮৫১৮৭ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তার মধ্যে রাঙামাটি পৌর এলাকার ৯৪টি কেন্দ্রে ১০৮৭৩ জন, সদর উপজেলার ১৫৩ টি কেন্দ্রে ৪০৬৫ জন, কাউখালী উপজেলার ১০৩টি কেন্দ্রে ৭২৫২ জন, নানিয়ারচরের ১০৩ টি কেন্দ্রে ৭১৮৩ জন, কাপ্তাইয়ে ১২৮টি কেন্দ্রে ১০৪৫০জন, বিলাইছড়ির ৭৮টি কেন্দ্রে ৩৪০১ জন, রাজস্থলীর ৭৮টি কেন্দ্রে ৪০৩৬ জন, বাঘাইছড়ি উপজেলার ১৭৯টি কেন্দ্রে ১৩০২১ জন, বরকলের ১২৮টি কেন্দ্রে ৮৫১৯ জন, জুরাছড়ির ১০৩টি কেন্দ্রে ২৫৬১ জন, লংগদুর ১৭৮টি কেন্দ্রে ১৩৮২৬ জন।
জেলার সব কেন্দ্র মিলিয়ে আমাদের স্বেচ্ছাসেবী কর্মীর সংখ্যা ৩৫৪৬ জন, মাঠকর্মীর সংখ্যা ৪২৯ জন ও ১ম সারির তদারককারী সংখ্যা ২৪১ জন বলে জানান সিভিল সার্জন ডাঃ শহীদ তালুকদার।
এসময় মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মাসুদুর রহমান, রাঙামাটির প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখায়াত হোসেন রুবেল, সম্পাদক আনোয়ার আল হক, সিনিয়র সাংবাদিক সুশীল প্রসাদ চাকমাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেট্রনিক ও অনলাইন সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।