শ্যামল রুদ্র রামগড়
খাগড়াছড়ির রামগড় ও ভারতের ত্রিপুরার সাথে স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে অধিগ্রহন করা ভূমি পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান(অতিরিক্ত সচিব) মো.আলমগীর ।
সোমবার দুপুরে তিনি ও তাঁর সফরসঙ্গীরা মহামুনি এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু সংলগ্ন প্রস্তাবিত বন্দর এলাকা পরিদর্শনে করেন।
সোমবার বেলা ১২টায় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রামগড় পৌঁছুলে পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল, উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্বপ্রদীপ কারবারি, রামগড় উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ও বন্দর কতৃর্পেক্ষর উর্ধতন কর্মকর্তারা তাঁদের স্বাগত জানান।
পরে বন্দরের জন্য নির্ধারিত স্থানের জমি অধিগ্রহণ ও বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। মৈত্রী সেতু সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় এবং প্রশাসনিক নেতৃবৃন্দ দের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।মতবিনিময় সভার শুরুতে প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব সরোয়ার হোসেন
এসময় বাংলাদেশ নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রক্ত দিয়ে লেখা। আমরা একটা কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছি।শুধু ব্যবসা বাণিজ্য নয় ভারতের সাথে আমাদের আন্তরিকতার সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে।মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে পাশে ছিলো। রামগড় স্থল বন্দর চালু হলে দুই দেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান পাল্টে যাবে।তিনি আরো জানান,রামগড় -সাব্রুম সীমান্তে ইমিগ্রেশন চালু করার ব্যাপারে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। খুব শিগগিরই রামগড়-সাব্রুম সীমান্তে ইমিগ্রেশন চালু হবে।
স্থলবন্দর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর জানান,রামগড় স্থল বন্দর কে কেন্দ্র করে পুরো চট্টগ্রামের দৃশ্যপট পরিবর্তন হতে যাচ্ছে।বন্দর কে কেন্দ্র করে সড়ক সংস্কার হতে শুরে করে একাধিক বড় প্রকল্পের সেতু নির্মান হচ্ছে।রামগড় স্থল বন্দর চালু হলে স্থানীয় মানুষদের জীবনযাত্রার মান অভাবনীয় পরিবর্তন হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, রামগড় ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্ণেল আনোয়ারুল মাজহার,প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব সরোয়ার হোসেন, রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্বপ্রদীপ কারবারি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোহাম্মদ ইখতেয়ার উদ্দীন আরাফা ,রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল,রামগড় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তফা হোসেন সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম আলমগীর ও রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুজ্জামন প্রমুখ।
উল্লেখ্য,রামগড়ে স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে রামগড়ের মহামনি সীমান্তে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১ উদ্বোধন হয়েছে। গত বছরের ৯ মার্চ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চ্যুয়ালি এর উদ্বোধন করেন।ভারতের অর্থায়নে ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়।বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে এবছরের ১০ই জানুয়ারি ১২৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। ২০২৪সালের মধ্যে নির্মাণ কাজ বুঝিয়ে দিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনিকো লিমিটেড কে দায়িত্ব দেয় স্থল বন্দর কতৃর্পক্ষ।