কাপ্তাইয়ে চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম, রতন ধর, সাধন দত্ত, মিশন হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দা যন্ত্রশিল্পী অভিজিৎ, অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক অরবিন্দু ধর, ফজল আহমেদের মতো প্রতিদিন কর্ণফুলী নদীর নির্মল বাতাস গায়ে মাখতে বিনোদন প্রেমীদের ভীড় লেগে থাকে কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা মিশন হাসপাতাল সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীর তীর মিশনঘাট এলাকায়। লুসাই পাহাড় হতে সৃষ্ট কর্ণফুলী নদীর এই এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড হতে বøক বসানোর ফলে এখন এটা সৌন্দর্যে ভরপুর হয়ে উঠেছে।
এক দিকে কর্ণফুলী নদীর নির্মল বাতাস আর এক পাশে শতবর্ষী চন্দ্রঘোনা ক্রিশ্চিয়ান হাসপাতাল। এই দুইয়ের মাঝখানে চন্দ্রঘোনা-কেপিএম সড়কের বিশাল অংশে বিকেলের পর হতে ভরে যায় মানুষের আনাগোনা। করোনার প্রভাবে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে বিনোদন প্রেমীরা কর্ণফুলীর সৌন্দর্য উপভোগ করে এই স্থানে বসে।
১নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী জানান, তার ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মিশন হাসপাতাল সংলগ্ন এই এলাকাটি একসময় সংস্কারবিহীন ছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে এখানে বøক বসানোর ফলে এখন এই জায়গায়টা একখন্ড নির্মল বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
চন্দ্রঘোনা ক্রিশ্চিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রবীর খিয়াং জানান, প্রতিটি মানুষের জীবনে কর্মব্যস্ততার পর কিছুটা বিনোদনের প্রয়োজন হয়। তাই আশেপাশের জনগণ নিজেকে প্রশান্তি দেওয়া লক্ষে এই এলাকায় আসে এবং আনন্দ খুঁজে পেতে। যতœসহকারে কিছু উন্নয়ন করা হলে এটি পরিণত হতে পারে সুন্দর একটি বিনোদনকেন্দ্রে। তবে তিনি সকলকে এই মূহুর্তে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ মুখে মাস্ক পরে অবস্থানের পরামর্শ দেন।