ভর্তির জন্য ১৪ শিক্ষার্থীর মাঝে প্রিয়দর্শী তহবিলের অর্থ বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
‘পাহাড়ের ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিন’ এই শ্লোগানে রাঙামটিতে প্রিয়দর্শী শিক্ষা কল্যাণ তহবিল ও মানবিক কল্যাণ সংঘের উদ্যোগে মাতৃ-পিতৃহীন গরীব ও অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে কলেজে ভর্তির টাকা বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে শহরের টিএ›ডটি এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী ফোরামের জেলা কার্যালয়ে টাকা বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রিয়দর্শী শিক্ষা কল্যাণ তহবিলের প্রতিষ্ঠাতা প্রিয়দর্শী চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজ সেবক জিতু মুৎসুদ্দি। সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি পৌরসভার কাউন্সিল বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী কালায়ন চাকমা, রাঙামাটি বিএম ইনস্টিটিউটের শিক্ষক অধ্যাপক আনন্দ জ্যোতি চাকমা, ডেইলি ইন্ডাস্ট্রি ও দৈনিক প্রথম প্রহর রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি বিহারী চাকমা, লেখক ও প্রকাশক ইন্টুমনি তালকুদার, মানবিক কল্যাণ সংঘের সভাপতি শান্তিময় চাকমা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সমাজ সেবক তাপস ত্রিপুরা প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কিকো দেওয়ান। অনুষ্ঠানে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার মাতৃ-পিতৃহীন, গরীব-মেধাবি ১৪ শিক্ষার্থীর হাতে কলেজে ভর্তির জন্য ৪৪ হাজার টাকা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। টাকা পয়সার অভাবে অনেকেই এসএসসি পাশ করার পর আর কলেজ ভর্তি হতে পারে না। অনেক মেধাবি শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। প্রিয়দর্শী শিক্ষা কল্যাণ তহবিল ও মানবিক কল্যাণ সংঘের উদ্যোগে যে মহতী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেভাবে যদি সমাজের বিত্তবান মানুষ এগিয়ে আসে তাহলে এই পাহাড় একদিন শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে।
প্রিয়দর্শী শিক্ষা কল্যাণ তহবিলের প্রতিষ্ঠাতা পুলিশ ইন্সপেক্টর প্রিয়দর্শী চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম দরিদ্র অসহায় মাতৃ-পিতৃহীন শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে ২০২০ সালে প্রথম ১৭জন শিক্ষার্থীর হাতে কলেজে ভর্তির টাকা দিয়েছিলাম। এরপর ২০২১ সালে ৩৪ জনকে কলেজ ভর্তির টাকা দেয়া হয়। এ বছর ২০২২ সালে ১৪ শিক্ষার্থীকে কলেজ ভর্তির টাকা দিয়েছে। গরীব অসহায় মেধাবি শিক্ষার্থীরা যাতে উচ্চ শিক্ষা লাভ করতে কলেজে ভর্তি হতে পারে সে কথা ভেবেই আমাদের এই উদ্যোগ। দেশে-বিদেশে অনেক মানবতাবাদী মানুষ রয়েছেন। প্রিয়দর্শী শিক্ষা কল্যাণ তহবিলের পক্ষ থেকে সেসব মানবতাবাদী মানুষের কাছে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক সহযোগিতার অনুরোধ জানানো হয়। তাদের পক্ষ থেকে দেয়া টাকা-পয়সা আমরা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করি।