বান্দরবানে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী রাজপূণ্যাহ উৎসব শুরু হবে আগামী ২১ ডিসেম্বর। বুধবার সকালে বোমাং সার্কেলের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বোমাং সার্কেল চিফ ১৭তম রাজা প্রকৌশলী উচপ্রু মারমা এ ঘোষণা দেন। এসময় অন্যদের মধ্যে রাজপুত্র চসিংপ্রু বনি, বালাঘাটা মৌজা হেডম্যান সাচপ্রু, হেডম্যান এসেসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক টিমং প্রু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বোমাং রাজা প্রকৌশলী উচপ্রু মারমা বলেন, বান্দরবানের সাতটি উপজেলার ৯৫টি মৌজা এবং রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই ও রাজস্থলী দুটি উপজেলার ১৪টি মৌজাসহ মোট ১০৯টি মৌজার হেডম্যান, ৮ শতাধিকেরও বেশি কার্বারি, রোয়াজাসহ প্রজাদের কাছ থেকে জুমের বাৎসরিক খাজনা আদায়ের লক্ষে ২১ ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপী রাজপূণ্যাহ মেলা উৎসব (পইংজ্রা) আয়োজন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। উৎসব চলবে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবারের রাজপূণ্যাহ হচ্ছে বংশ পরাম্পরায় ১৪০ তম রাজপূণ্যাহ এবং আমার (বর্তমান বোমাং রাজা) চতুর্থতম রাজপূণ্যাহ উৎসব।
১৮৭৫ সালে ৫ম তম বোমাং রাজা সাক হ্ন ঞো’র আমল থেকে বংশ পরস্পরায় ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছর ঐতিহ্যবাহী রাজপূণ্যাহ উৎসব হয়ে আসছে। রাজপূণ্যাহ মেলায় বসবে নাগর দোলা, সার্কাস, বিচিত্রানুষ্ঠানু, পুতুল নাচ, মৃত্যুকূপসহ ব্যাাতিক্রমি নানা আয়োজন। এছাড়াও হরেক রকম জিনিসপত্রের দোকান এবং রাতব্যাপী চলবে যাত্রা অনুষ্ঠান। রাজপূণ্যাহ উৎসব পাহাড়ি-বাঙালির মিলন মেলায় পরিণত হবে। শুধুমাত্র বান্দরবান, রাঙামাটি নয় রাজপূণ্যাহ মেলা দেখতে ভিড় জমান দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটকও।