নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
উৎসবের নগর এখন পার্বত্য জনপদ। ঘরে ঘরে বিরাজ করছে ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসবের আমেজ। বুধবার ছিল চাকমা জনগোষ্ঠীর বিজু উপলক্ষে ঘরে ঘরে অতিথি আপ্যায়ন। ৩২ রকমের সবজি দিয়ে তৈরি বিশেষ ‘পাঁজন’ এই দিনে পরিবেশন করা হয়। পাহাড়ি জনগোষ্ঠিরা বিশ্বাস করে এই পাঁজনে ওষুধি গুণ আছে। কারণ এটি একটি বিশেষ দিনকে উপলক্ষ করে তৈরি করা হয়। তা ছাড়া থাকে নানা রকমের সবজি। এছাড়া যার যার সাধ্য মতো নানা রকমের খাবারের আয়োজন করে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মানুষ।
বুধবার উৎসবের মূল দিবসে ঘরে ঘরে চাকমারা মূল বিজু, মারমারা সাংগ্রাইং আক্যা এবং ত্রিপুরারা বৈসুকমা পালন করেছে। ঘরে ঘরে আয়োজন করা হয়েছে নানাবিধ বাহারি খাবারের। আপ্যায়নে মেতেছে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের নারী-পুরুষ। একাট্টা হন আবহমান বাংলার বাঙালিসহ সব জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। পাহাড়জুড়ে বইছে খুশির জোয়ার।
রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু লারমা), রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী নিজ নিজ বাসভবনে সর্বজনীন আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেছেন।
বৃহস্পতিবার চাকমা সম্প্রদায় গজ্জাপজ্জা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায় হারি বৈসু উৎসব পালন করবে। এছাড়া মারমা সম্প্রদায়ের আজ থেকে ৩ দিনের উৎসব শুরু হবে। উৎসবের শুরুতে তরুণ তরুণীরা জলকেলি কিংবা পানি খেলায় মিলিত হয়। নতুন বছরে একে অপরের গায়ে মৈত্রী পানি বর্ষণের মাধ্যমে দুঃখ, কষ্ট ও গ্লানি মুছে ফেলার দীপ্ত প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।