
চিকিৎসা সেবায় আমাদের অতি পরিচিত নাম বেঙ্গালর। দাপ্তরিক ভাষায় পরিচিত বেঙ্গালুরু নামেই। দক্ষিন ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য কার্নাটাকার রাজধানী শহর বেঙ্গালুরু আমাদের কাছে চিকিৎসা সেবায় আস্থার নাম হলেও ভারত বাসীর কাছে বেঙ্গালরের নাম ডাক কেবল চিকিৎসা সেবার জন্যই নয় ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দ্রুত গতিতে উন্নয়নের মাইল ফলক ছোয়া এই শহরকে বলা হয় সিলিকন সিটি অফ ইন্ডিয়া।সমস্ত ইন্ডিয়ার আইটি হাব এই শহর। ইনফোসিয়েস,ইস্রো,উইপ্রো সহ অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তর রয়েছে এই শহরে।
ইতিহাস জানায়, ১৫৩৭ খ্রীষ্টাব্দে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের কেম্পে গৌড়া নামে এক জমিদার এখানে একটি মাটির দূর্গ তৈরি করেছিলেন।মনে করা হয় এটিই আধুনিক বেঙ্গালর শহরের প্রথম ভিত্তি স্থাপন। ১৬৩৮ খ্রীষ্টাব্দ থেকে প্রায় পঞ্চাশ বছর মারাঠা শাসনাধীন থাকার পর বেঙ্গালর দখল নেয় মুঘল শাসকগোষ্টী।
তিনলক্ষ টাকার বিনিময়ে মুঘল শাসকগোষ্টি এই শহর বিক্রি করে দেয় তৎকালীন মহীশূর রাজ্যের কাছে। ১৭৯৯ খ্রীষ্টাব্দে ইঙ্গ-মহিশূর যুদ্ধ , ১৮০৯ খ্রীষ্টাব্দে ব্রিটিশদের বেঙ্গালরে ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন দীর্ঘ ইতিহাস পরিক্রমায় ১৯৪৭ খ্রীষ্টাব্দে ভারত স্বাধীন হওয়ার পরও মহীশূর রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালর শহরই থাকে। ১৯৫৬ খ্রীষ্টাব্দে কানাড়া (কার্নাটাকা রাজ্যের নিজস্ব ভাষা) ভাষাভূক্ত অঞ্চলগুলো নিয়ে কার্নাটাক রাজ্য গঠিত হলে ব্যাংগালরকে রাজধানী করা হয়। ২০০৬ সালে কানাড়া ভাষায় বেঙ্গালরের নাম ‘ বেঙ্গালুরু ‘ সরকারীভাবে গ্রহন করা হয়।
দীর্ঘ ইতিহাস সমৃদ্ধ বেঙ্গালর শহর পরিচিত বাগানের শহর নামেও।আইটিহাব আর উঁচু উঁচু দালানের সমারোহে ঘেরা এই শহরে তবুও যেদিকে চোখ যাবে সবার আগে নজরে আসে সবুজের অবয়ব।রাস্তার দুপাশে মাঝের ডিভাইনে নানা প্রজাতির ফুল আর সবুজের সমারোহ।
তীব্র ব্যস্ত ছুটে চলা এই শহরে তবুও কেউ লাইনচ্যুত হয়না পথের মাঝে।সিগনাল কিনবা সিরিয়ালে অটো কিনবা বাইক বেপরোয়া হয়না কেউই।সবাই ছুটছে ঠিকঠাক নিয়মে।
সকালটা আসে ঠিকঠাক রাতটাও নিয়ম করে সময়ের হিসেবেই শেষ হয়।প্রচন্ড ব্যস্ত এই শহরের সময় কই সময় নষ্ট করার। কেবল শনিবার রাত নামলেই ব্যস্ত হয় নির্দিষ্ট পাড়া।সাপ্তাহিক ব্যস্ততার হাফ ছাড়তে ভীড় জমে ওপাড়ায় জেগে থাকে রাতের শহর।তাই হয়তো এশিয়ার সবচেয়ে বড় ওয়াইন শপের দাবিদারও এই বেংগালর শহরই।।
বেঙ্গালরে যা দেখবেন-
পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ এই শহরে আসে কর্মসূত্রে।অধিকাংশ বাঙালি আসে চিকিৎসা সেবা নিতেই।বাংলাদেশ সহ নানা দেশের শিক্ষার্থীরাও রয়েছে এই শহরে। তবে কেবলমাত্র ভ্রমনের উদ্দেশ্যে আসলেও নিরাশ করবেনা বেংগালর।গার্ডেন সিটি নামে পরিচিত এই শহর যথেষ্ঠ পর্যটক বান্ধব।ভাষাগত খানিকটা সমস্যা হয়ত হবে টুকটাক হিন্দী ইংলিশ দিয়ে চালিয়ে নিতে হবে কানাড়া ভাষাভাষি এই অঞ্চলের মানুষের সাথে।

বেঙ্গালর প্যালেস- বেঙ্গালরের সবচেয়ে আকর্ষনীয় পর্যটন স্থানের নামে প্রথমেই আসে বেঙ্গালর প্যালেসের নাম। ওয়াদিয়া রাজবংশের রাজা ছামারাজা ওয়াদিয়ার ১৮৮৭ সালে এই রাজপ্রাসাদ নির্মান করেন। প্রাসাদের সম্মুখ ভাগের কাঠের নকশা এবং সবুজে আচ্ছাদিত এই প্রাসাদ পর্যটক সহজেই নজর কাড়ে। আর ভেতরে রয়েছে রাজবংশের ইতিহাস গাথা।প্রাসাদের সামনেই রয়েছে বিশাল খোলা মাঠ এবং বিশাল ফুলের বাগান। নানা উৎসব আয়োজনের জন্য ভাড়াও দেয়া হয় প্রাসাদের সম্মুখভাগ।
টিপু সুলতান সামার প্যালেস- ১৭৯১ সালে এই প্রাসাদ নির্মান করা হয়েছিল মাইসুরের সুলতান টিপু সুলতানের গ্রীষ্মকালীন অবকাশ যাপনের জন্য।প্রাসাদের নামকরনেও সে চিত্র স্পষ্ঠ। নির্মান এবং স্থাপত্য শৈলির কারনে এই প্রাসাদ এখনো ইতিহাস প্রেমী পর্যটকদের টানে।
লালবাগ– প্রায় ২৪০ একর জায়গা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা লালবাগের নামকরনে বলা হয়ে থাকে প্রচুর সংখ্যক লাল গোলাপ এই বাগানে ফুটতো বলেই বাগ মানে বাগানের সাথে এই লাল শব্দ যুক্ত হয়েছে।১৭৬০ খ্রীষ্টাব্দে হায়দার আলী এই বাগানের প্রকল্প শুরু করলেও এর কাজ শেষ করেন তার পুত্র টিপু সুলতান। প্রতি বছর ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস (২৬ জানুয়ারী) এবং স্বাধীনতা দিবসে (১৫ আগষ্ট) লালবাগে ফুল উৎসব এবং প্রদর্শনির আয়োজন করা হয়।
ফুলের বাজার– মৃদূ আবহাওয়ার বেংগালরের পথে হাঁটতে হাঁটতে ডানে বামে চোখে পড়বে অগনিত ফুলের দোকান,ভ্যান।রাস্তার ধারেই ফুলের পশরা সাজিয়ে বসে আছে নানাবয়সী মেয়ে মহিলারা। এই অঞ্চলের মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে ফুলের ব্যবহার প্রচুর। অফিসে ছুটতে পথে চুলের বেনুনীতে কিনবা ঘরের পূজায় ফুল চাই।আর এই সমস্ত ফুল আসে এশিয়ার আরেক বিখ্যাত এবং বড় পাইকারী বাজার কে আর ফ্লাওয়ার মার্কেট থেকে। ভোরের আলো ফোঁটার আগেই শুরু হয় বিকি কিনি। চলে দের রাত অব্দি।নানা ফুলের বিশাল সমারোহ এই মার্কেট।

কাব্বন পার্ক– নানা প্রজাতির উদ্ভিদ গুল্মের সমারোহে ৩০০ একর জায়গা নিয়ে এই পার্ক দাঁড়িয়ে আছে বেংগালর শহরের মূল কেন্দ্র জুড়েই।এর আশপাশ জুড়েই ছড়িয়ে আছে বেঙ্গালর হাইকোর্ট, বেংগালর মিউজিয়াম, বিধান সৌধা (বেঙ্গালর পার্লামেন্ট ভবন)। সকাল বিকেল স্বাস্থ্য সচেতন প্রচুর মানুষের দেখা মেলে এই পার্কে।
এছাড়াও সমস্ত বেংগালর শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য পার্ক। উন্নয়ন আর ব্যস্ত যাপনের ভিড়ে সুন্দর স্বাস্থ্যও যে অপরিহার্য তা এখানকার মানুষের খুব জানা।
বানারঘাটা ন্যাশনাল পার্ক- ১৯৭১ সালে এই পার্কটি মূলত বিলুপ্তপ্রায় প্রানী সংরক্ষন , ইকো টুরিজমকে প্রাধান্য দিয়েই গড়ে উঠে। নানাপ্রজাতির প্যান্থার , বাঘ ,সিংহ , কালো ভাল্লুক সহ নানা প্রজাতির জীব এবং প্রানী বৈচিত্র্য রয়েছে এই পার্কে।
নান্দিহিল- বেঙ্গালর শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪৭৮ মিটার উপর থেকে সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় দেখার জন্য পর্যটক এবং শহরবাসী উভয়ের জন্য বেশ পরিচিত নাম নান্দিহিল। উঁচুনিচু আকাবাকা পথ ধরে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় চুড়ায়।মেঘের চাদর ভেদ করে জেগে উঠা সূর্যাস্তের আলো সৃষ্টি করে এক অপার্থিব সৌন্দর্য।
মহাত্মাগান্ধী রোড– সংক্ষেপে MG Road নামে পরিচিত এই এলাকা মুলত বিখ্যাত এর ‘নাইট লাইফ’ য়ের জন্য। রাত বাড়তে বাড়তে জেগে উঠে এই পাড়া।দাপ্তরিক ব্যস্ততা শেষে এই পাড়ায় ভীড় জমায় লোকজন।খাবারের দোকান পাব বার থেকে শুরু করে এখানেই রয়েছে মোবাইল থেকে শুরু করে জামা কাপড়ের জগত বিখ্যাত সব ব্র্যান্ডের শো রুমও। একইসাথে মিলে যাবে রোড সাইড কমদামে ভালো মানের জিনিসপত্রও। রাতের মোহনীয় জীবন উপভোগের জন্য হলেও এই পথে একবার ঢু দেয়া আবশ্যক।
ব্লসম বুক শপ- এখানেই রয়েছে বেংগালরের সবচেয়ে বড় বইয়ের দোকান।নতুন পুরাতন দেশি বিদেশি অসংখ্য বইয়ের সমাহার এই দোকান।২০০১ সালে ইঞ্জিনিয়ার মায়ি গৌড়া বইয়ের প্রতি নেশায় ভালোবাসায় নিজের চাকরী ছেড়ে পেশা হিসেবে বেছে নেন বই ক্রয় বিক্রয়কে।২০০ স্কয়ার ফিট নিয়ে যাত্রা শুরু করা ব্লসম বুক শপের বর্তমান আয়তন ৩০০০ স্কয়ার ফিট।২লাখেরও বেশি সংখ্যাক বই নিয়ে এই শপটি ভারতের সেকেন্ড হ্যান্ড বইয়ের দোকানের তালিকায় রয়েছে শীর্ষে।


বেঙ্গালুরুর আবহাওয়াঃ
বেঙ্গালুরুর আবহাওয়া বুঝতে সবচেয়ে সহজ উদাহরন নব্য জেনারেশনের বহুল ব্যবহৃত শব্দ মুড সুইং।এই মেঘ এই বৃষ্টি এই শীতল হাওয়া এই তীব্র শীতল হাওয়ার সমন্বয় বেংগালরের ওয়েদার।ছাতা সোয়েটার পানির বোতল তিনটা জিনিসই সাথে রাখতে হয় প্রায় প্রতিনিয়ত।বলা যায় না কখন কোনটা কাজে লাগে!তবে বেঙ্গালরের প্রেমে পড়তে মুলত বেংগালরের ওয়েদারই যথেষ্ট।সন্ধ্যার সোডিয়াম আলোর সাথে ভেসে আসা মৃদু হীম হাওয়া বাড়ি ফেরার ব্যস্তততায় রাস্তার ধার ঘেষে হেটে চলা সময়,ব্যস এইতো বেংগালরের ডায়রীর পাতায় জমে যাবে স্মৃতি।
বেঙ্গালুরুর যোগাযোগ ব্যবস্থা-
শহরের ভেতরে চলাচলের জন্য রয়েছে অসংখ্য সরকারী বেসরকারী পাবলিক বাস।সবচেয়ে জনপ্রিয়তার জায়গায় রয়েছে বেঙ্গালর মেট্রো সার্ভিস ।পরিচ্ছন এবং দ্রুত গতির জন্য মেট্রোই ব্যবহৃত হয় সবচেয়ে বেশি। রয়েছে অটো সার্ভিসও।সরাসরি অটো বুকের চেয়ে ওলা,ঊবার নামক এ্যাপস ব্যবহারই সাশ্রয়ি।ভাষাগত সমস্যা যেহেতু আছেই এ্যাপসই সবচেয়ে সহজ সমাধান।সমস্যাওই পড়তে পারেন খুচরা ভাংতি রুপি না থাকলে। মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেমের উপর নির্ভর মোটামুটি সব তাই নিজের কাছে খুচরো পয়সা রুপি রাখা সবচেয়ে সহজ সমাধান।

কি খাবেন-
সমস্ত সাউথ বাসীর খাবার তালিকায় প্রথমেই আসে ইডলি দোসার নাম।বেঙ্গালরে এসে গতানুগতিক বাংগালী খাবার অত চট জলদি না মিললেও বেঙ্গালরের ইডলি দোসা হতাশ করবে না।অতি ঝালের সাথে অতি মিষ্টি খেয়ে খাবারে সমন্বয় রাখা এই অঞ্চলের খাবারের বৈচিত্র্যতাও বেশ ভালোই।এক সাদা ভাতেই নানা সংস্করন।বিসি বিল্লে ভাত, লেমন রাইস, ঘি রাইস,জিরা রাইস।।
সকালে ইডলি দোসার বৈচিত্র্যতায় দিন শুরু করে দুপুরের কাটফাটা রোদ্দুরে মোড়ে মোড়ে পেয়ে যাবেন নানা ধরনের ফলের একদম ফ্রেশ জুসের দোকান।সাথে ফলের থালি।এক বাটিতে নানা ফলের মিশ্রন।গুনতে হবেনা অনেকবেশি রুপিও।
বিকেল গড়ালেই পাড়ায় পাড়ায় স্ট্রিট ফুডের ভ্যান।নানা ধরনের চাট, পানি পুরী এবং অতি অবশ্যই বেঙ্গালরের গোবি (ফুলকপি) মাঞ্চুরিয়ান , মাশরুম মাঞ্চুরিয়ান টেস্ট করতে ভুলবেন না যেন।
একই সাথে বেংগালরের সমস্ত খাবার বৈচিত্র্যতা দেখতে চাইলে চলে যেতে পারেন ভিভিপুরাম, কোরামংলা স্ট্রীট ফুড এলাকায়। সন্ধ্যা থেকে প্রায় মধ্যরাত অব্দি চলে বিকিকিনি।।
কিভাবে আসবেন-
ঢাকা কিনবা চট্টগ্রাম থেকে ডিরেক্ট ফ্লাইট রয়েছে বেঙ্গালরের।তবে সবকটা ফ্লাইটই কলকাতায় ট্রান্সিট দিয়ে আসে।কলকাতায় ইমিগ্রেশন শেষ করে পরিবর্তন করে নিতে হয় ফ্লাইট।ঢাকা থেকে কলকাতায় উড়াল দিয়ে চল্লিশ মিনিটে পৌছে গেলেও একই মানচিত্রের কলকাতা থেকে বেঙ্গালর অতটা কাছেও নয়।উড়াল পথেই নিয়ে নিবে দু’ঘন্টা চল্লিশ মিনিট।
কলকাতা থেকে ট্রেনে বেংগালর আসতে চাইলে আপনাকে ব্যয় করতে হবে প্রায় ৩৫ ঘন্টা।
বেঙ্গালর এয়ারপোর্ট থেকে শহরে আসতে রয়েছে বাসের শাটল সার্ভিস। আপনার গন্তব্যর জানিয়ে বাসের রুট জেনে উঠে পড়ুন বাসে।এসি বাসে খরচও সাশ্রয়ী।ক্যাব নিতে গেলে ভাড়া হয়ে যাবে কয়েকগুন।
থাকবেন কোথায়-
OYO রুম নামে অসংখ্য চেইন হোটেল আছে বেঙ্গালর সহ মোটামুটি সমস্ত ভারতে।এক্ষেত্রে গুগুল আপনাকে সাহায্য করবে আপনার গন্তব্যের আশেপাশের ওয়িও রুম খুঁজে নিতে।কম খরচে সবচেয়ে ভালো আবাসন ব্যবস্থা নিঃসন্দেহে এই রুম।
বেঙ্গালরের সবচেয়ে ভালো দিক সম্ভবত সমস্ত ভারতের সবচেয়ে নিরাপদ শহর এই বেংগালর।ব্যস্ত উন্নত এই শহরে অন্তত মেয়েরা বেশ নিরাপধ।
ঘুরতে আসেন কিংবা চিকিৎসা সেবা নিতে অন্তত অতি অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।বরং মুগ্ধ হতে পারেন ব্যস্ত শহরের গোছানো যাপনে।খাবার সংস্কৃতির বৈচিত্র্যতায়ও মিলেমিশে ছুটছে মানুষ।একটা শহরের আবাসিক এলাকা থেকে বানিজ্যিক পাড়া কি সুন্দর গড়ে উঠেছে পরিকল্পনা মাফিক।আপনার ভ্রমন ডায়রিতে বেঙ্গালর যোগ করবে এক চমৎকার অভিজ্ঞতা………এবং অতি অবশ্যই দেশে কিংবা বিদেশে যেখানেই যান যে সংস্কৃতিতেই যান না কেন সে দেশ সে অঞ্চল সে অঞ্চলের রীতিনীতের প্রতি সম্মান রাখবেন।আপনার ব্যবহার আপনার যাপনই আপনার সংস্কৃতি আপনার পরিচয় বহন করে।
লেখক : দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পাহাড়টোয়েন্টিফোর ডট কম এর সাবেক ফিচার এডিটর, বর্তমানে উচ্চ শিক্ষার জন্য ব্যাঙ্গালোর ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত