
টানা বর্ষণে বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবারও সদরের কাসেমপাড়া এবং হাফেজঘোনা চিম্বুক সড়ক এলাকায় বৃষ্টির মধ্যে চারপাশে টিনের ঘেরাও দিয়ে পাহাড় কাটতে দেখাগেছে। এদিকে পাহাড় ধসের ঝুকিতে বান্দরবান পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে এখনো ঝুঁকিপর্ণ ভাবে বসবাস করছে হাজার হাজার পরিবার। বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে প্রাণহাণির শঙ্কা দেখা দেয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ বসতি ছেড়ে লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।
প্রশাসন, পৌরসভা ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার থেকে বান্দরবানে অবিরাম বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। গত ৪৮ ঘন্টায় বান্দরবানে ১১০ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বর্ষণে বান্দরবান পৌরসভার ইসলামপুর, কাসেমপাড়া, বনরুপা পাড়া, কালাঘাটা, কসাই পাড়া, বালাঘাটা, লেমুঝিরি, হাফেজঘোনা এলাকায় ছোটখাটো পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে প্রতিবছর পাহাড় ধসে প্রাণহাণির পরও থামছেনা পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন। বৃহস্পতিবারও বৃষ্টির মধ্যে চারপাশে টিনের ঘেরাও দিয়ে নয় নাম্বার ওয়ার্ডের কাসেম পাড়া এবং আট নাম্বার ওয়ার্ডের হাফেজঘোনা চিম্বুক সড়ক এলাকায় পাহাড় কাটতে দেখা গেছে কয়েকজনকে।
স্থানীয় বাসিন্দার আবু নাছের অভিযোগ করে বলেন, বৃষ্টির মধ্যে টিনের ঘেরাও দিয়ে বৃষ্টিতে পাহাড় কাটা হচ্ছে। পাহাড় কাটার ফলে প্রতিবছরই পাহাড় ধসে প্রাণহাণির ঘটনা ঘটে। প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে পাহাড় কাটা মানুষগুলোর মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
বান্দরবান মৃত্তিকা সংরক্ষণ গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাবুবুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার থেকেই বান্দরবান জেলায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়েছে। অবিরাম বর্ষণের কারণে বান্দরবানে পাহাড় ধসের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রাণহাণি রুখতে পাহাড়ের ঢালুতে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হচ্ছে।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো: ইসলাম বেবী বলেন, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো থেকে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে বসবাসকারীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। নির্দেশনার পরও যারা ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরানো হচ্ছে। পাহাড় কাটা শাস্তিমূলক অপরাধ। কোনো ভাবেই পাহাড় কাটা যাবে না। পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।