মাত্র তিনদিন আগেই নেয়া ‘করোনা সচেতনতার’ অংশ হিসেবে দোকান ও মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে রাঙামাটি শহরের তিন প্রভাবশালি ব্যবসায়ি সমিতি।
ফলে বুধবার সকাল থেকেই স্বল্প পরিসরে খুলছে রাঙামাটি শহরের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শহরের প্রভাশালী তিন ব্যবসায়ি সংগঠন বৃহত্তর বনরূপা ব্যবসায়ি কল্যাণ সমিতি,নিউ রাঙামাটি(রিজার্ভবাজার) ব্যবসায়ি কল্যাণ সমিতি এবং তবলছড়ি বাজার ব্যবসায়ি কল্যাণ সমিতির তিন শীর্ষ নেতা।
বৃহত্তর বনরূপা ব্যবসায়ি কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবু সৈয়দ জানিয়েছেন, আমরা ব্যবসায়িদের সিদ্ধান্তেই দোকান ও মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ঠিকই,এখন আবার ব্যবসায়িদের মানবিক আবেদনের কারণেই খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই দোকান ও মার্কেট খুলতে হবে।’
কিন্তু গত ৯ মে দুপুর ১১ টায় নেয়া সিদ্ধান্ত কি করে ১২ মে এসেই বদলে গেলো,এমন প্রশ্নের জবাবে এই ব্যবসায়ি নেতা বলেন- পুরো বিষয়টি আসলে ব্যবসায়িদের আবেদন ও বর্তমান প্রেক্ষিত বিবেচনায় নিয়ে করতে হয়েছে। এটা ঠিক যে সব ব্যবসায়ি খোলার পক্ষে নয়, আবার সবাই বিপক্ষেও নয়। কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে মানবিক দিকটি অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বানিজ্যিককেন্দ্র রিজার্ভবাজারের নিউ রাঙামাটি(রিজার্ভবাজার) ব্যবসায়ি কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাজী আনোয়ার মিয়া ভানু জানিয়েছেন, ব্যবসায়িদের আবেদনের প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। তবে দোকান বা মার্কেটের যেসব কর্মচারী বাইরে আছে,তারা আসতে পারবে না। আসলেই আমরা তাদের কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়ে দেব। এবং সবাইকে সরকারের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতি অনুসরণ করতে হবে।’
তবলছড়ি বাজার ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি হাজী জহির আহমেদ জানিয়েছেন, আমরা দোকানপাট খোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বুধবার থেকে তবলছড়ির দোকানপাট খুলবে।’
তবে ব্যবসায়িদের এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন নিজেদের সতর্ক অবস্থানের কথা স্পষ্ট করেছে। জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর(এনডিসি) উত্তম কুমার দাশ জানিয়েছেন, তাদেরকে অবশ্যই সরকারি নির্দেশনা মেনে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দুরত্ব মানতে হবে। একই সাথে সকাল ১০ টায় খুলে ৪ টায় বন্ধ করতে হবে। নতুবা আমরা আমাদের মতো করেই কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নিবো।