গত ৫ ডিসেম্বর রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাসেল মারমাকে হত্যাচেষ্টা অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামী হিসেবে বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির উপজেলা কমিটির সভাপতি শুভমঙ্গল চাকমাসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে রাঙামাটি শহরের আসামবস্তি এলাকা থেকে শুভমঙ্গল চাকমাকে গ্রেফতার করা হয়। বাকীদের বিলাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ সত্যজিৎ বড়–য়া। একই সময় আরো যাদের আটক করা হয় বিলাইছড়ি থানায় আটকৃতরা হলেন, বুদ্ধিবিজয় তংচঙ্গ্যা (২১), সুমন চাকমা (২৬),সুনীল কান্তি চাকমা (৪০),চন্দ্র বাবু তংচঙ্গ্যা (৩৫),বীরময় চাকমা (৩৫), সমর বিজয় চাকমা (২৯)।
এদিকে ৭ ডিসেম্বর শহরের ভালেদী আদাম এলাকায় মহিলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ঝর্ণা খীসাকে নিজ বাসায় কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভূক্ত আসামী ৭ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-রিটন চাকমা (২৯), বাবু চাকমা (২৭),মঙ্গলমনি চাকমা (২৬),সাধন চাকমা (২৮),রিকন চাকমা (২৮),ফালনজিৎ চাকমা (২২),রূপম চাকমা (২৪)।
দুটি ঘটনায় দায়ের করা পৃথক পৃথক মামলায় এদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাসেল মার্মা হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আহত রাসেল মার্মা বাদী হয়ে বিলাইছড়ি থানায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির উপজেলা সভাপতি শুভমঙ্গল চাকমা সহ ৩১ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অপরদিকে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ঝর্ণা খীসাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঝর্ণা খীসা বাদী হয়ে রাঙামাটির কোতয়ালি থানায় পৃথক আরেকটি মামলায় ২১ জনকে আসামী করেন।
দুটি মামলার ৫২ জন আসামীর মধ্যে প্রথম দিনেই ১৪ জনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। তবে জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দ চাকমা হত্যার ঘটনায় এখনো কাউকে আটক বা গ্রেফতার করার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার জুরাছড়িতে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দ চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই সময়ে বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি রাসেল মার্মাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। একদিন পরেই বুধবার রাঙামাটি শহরেই জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ঝর্ণাখীসাকে নিজ বাসায় কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়। তিনটি ঘটনার জন্যই আওয়ামীলীগ আঞ্চলিক দল জনসংহতি সমিতিকে দায়ি করেছে এবং জনসংহতি সমিতি অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এসব হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাঙামাটি জেলায় সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছে রাঙামাটি জেলা যুবলীগ।
7 Comments
Jummoder r gumanor somoy ney,jege uto jummo jhati
এখন বুঝো ঠেলা
এদের কে গুলি করে মারা হোক
fasanu hocce,,, sorojontro,,,,sob plan kore kaj korse,,,
really?
এদেরকে সন্দেেহ করে ধরা হয়েছে
বাঙালি উগ্রবাদী দের শান্তিতে থাকা যাচ্ছে না।হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে জবাব দিতে হবে।আমরা সন্ত্রাসী নয়,আমরা অধিকারে জন্য শান্তি চুক্তি বাস্তাবায়নে জন্য লড়াই করি।অধিকার দিতে হবে নইলে আদিবাসী থাকবেনা নইতো চুক্তি বাস্তবায়ন দিতে হবে।সজা আগুলে ঘি উঠেনা।