রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার কুতুবদিয়ায় দুই সহোদর ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও নিহতদের পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. পারভেজ চৌধুরী। গতকাল বিকেল নিহতের পরিবারের সদস্যদের ঘটনাত্তোর মানসিক ও পারিবারিক অবস্থাসহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেন ইউএনও।
এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা, ১নং বিলাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি ইউপি সংরক্ষিত সদস্য স্বপ্না তঞ্চঙ্গ্যা, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য জয়তন তঞ্চঙ্গ্যা, সূর্যের হাঁসি ক্লিনিকের উপজেলা ম্যানেজার বাপ্পী তঞ্চঙ্গ্যা, দীঘলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রঞ্জন তঞ্চঙ্গ্যা, সহকারী শিক্ষক সুদর্শন বড়ুয়া, বিলাইছড়ি বাজার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিপ্লব বড়ুয়া ও উপজেলা নির্বাহী অফিসের বিটু চাকমা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যার বাগানে গরুর চড়ানো নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কুতুবদিয়া এলাকার লক্ষ্মীজয় মারমা (২৬) নামের ব্যক্তি ধারালো দা’দিয়ে কুপিয়ে দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা ও তাঁর সহোদর ভাই শ্রীকান্ত তঞ্চঙ্গ্যাকে হত্যা করে। এছাড়া তাদের বড়বোন সোনাবালা তঞ্চঙ্গ্যা (৩৭) ও বোনের ছেলে প্রশান্ত তঞ্চঙ্গ্যাক্রে (১২) কুপিয়ে জখম করে। আহত দুইজন বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন আছেন।
নিহত দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা ছিলেন গ্রাম পুলিশ। তার একটি ৮ বছরের মেয়ে সন্তান আছে এবং তার স্ত্রী ছিল গর্ভবতী। তার মৃত্যুর তিন দিনের মাথায় গত সোমবার (২ডিসেম্বর) ভোর রাত আনুমানিক পৌনে তিনটায় উপজেলা হাসপাতালে আরেক ছেলে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। মর্মান্তিক এ হত্যাকা-ের পর ছেলের মা খাবার খেতে না পারায় তার বুকে দুধের অভাব দেখা দিয়েছে। এ জন্য শিশুটিকে কেমন বাড়তি খাবার দেয়া যেতে পারে সে বিষয়ে ডাক্তারী পরামর্শ নেওয়ার জন্য ইউএনও পরামর্শ দেন এবং এতে সূর্যের হাঁসি ক্লিনিকের ম্যানেজার বাপ্পী তঞ্চঙ্গ্যাকে দৃষ্টি রাখার জন্য অনুরোধ জানান। পরিদর্শনের সময় ইউএনও মৃত দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যার স্ত্রীর সদ্যজাত শিশুটির জন্য মশারি ও কাপড় বিতরণ করেন।