
করোনা ভাইরাসের আগের বছরগুলোতে এই সময় উৎসবে রঙ্গীন থাকতো পাহাড়ী তিন জেলা। এই দিন পাহাড়ে সবচেয়ে বড় উৎসব আয়োজন হতো খাগড়াছড়িতে। মূলত ১৪ এপ্রিল থেকে মারমা জনগোষ্টীর সাংগ্রাই উৎসব শুরু হয়। সকালে র্যালি, সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও বিশেষ আর্কষণ থাকতো জলকেলী বা পানি খেলা। উৎসব দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে আসতো।
তবে এবার কোন আয়োজন থাকছেনা। সাংগ্রাই ঘিরে নেই কোন খেলাধূলা। করোনায় থাবায় ম্লান পাহাড়ের উৎসব। এদিকে আজ থেকে সাংগ্রাই, আক্যে, আতাদা, আপ্যায়েং নামে এই উৎসব পালন করবে মারমা জনগোষ্ঠি। একই দিন থেকে পাহাড়ের পিছিয়ে পড়া সাঁওতাল জনগোষ্টীও বাংলা নববর্ষের দিন থেকে তিন দিন ধরে পাতাবাহা উৎসব পালন করে। বাহামি, পাতা ও ছাতা নামে পালিত উৎসবের আজ প্রথম দিন।
তবে সব আয়োজন ঘরোয়াভাবে পালিত হচ্ছে। এদিকে ত্রিপুরা জনগোষ্টী আজ হারিবৈসু নামে উৎসবের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত করছে। চাকমা জনগোষ্টীর বিজু উৎসবের আজ শেষ দিন।
এদিকে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে লকডাউনে অনেকটা জনশূন্য খাগড়াছড়ি। বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন জনগোষ্ঠির কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যে ভরপুর উৎসব দেখতে সারাদেশের মানুষ এই সময় পাহাড়ে ছুটে আসে।