বিপাকে পড়া মানুষের টিসিবি পণ্য সংগ্রহে ভিড়

পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) প্রভাবে বিপাকে পড়া মানুষের মাঝে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে জেলা শহরের তবলছড়ি বাজার এলাকায় পণ্য বিক্রয় শুরু করে টিসিবি’র ডিলার।
সকালে তবলছড়ি বাজার এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, করোনায় প্রভাবে ঘরবন্দি হয়ে বিপাকে পড়া মানুষেরা দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে টিসিবির পণ্য সংগ্রহ করছেন। এসময় ডিলারের পক্ষ থেকে টিসিবির চারটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। এদিন সকাল থেকে ৪ শতাধিক মানুষের মধ্যে ১৫০০ লিটার সয়াবিন তেল, ৪০০ কেজি পেঁয়াজ, ৬৫০ কেজি চিনি ও ১০০ কেজি মশুর ডাল বিক্রয় করা হয়েছে। এরমধ্যে চিনি ও মশুর ডাল কেজি প্রতি ৫০ টাকা দর। পেঁয়াজ ৩৫ ও সয়াবিল তেল প্রতি লিটার ৮০ টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে।
টিসিবির পণ্য ক্রয় করতে আসা কয়েকজন জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের কারণে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ আতঙ্কের মধ্যে আছেন। বিগত এক সপ্তাহ ধরে কর্মহীন হয়ে আছেন তারা। সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা দিলেও সবাই এখনো ত্রাণ পাচ্ছেন না। টিসিবির পণ্য বিক্রয়ের কথা জেনে তারা এখানে এসেছে পণ্য সংগ্রহ করেছেন। সাধারণ মানুষরা সবাই ত্রাণ সহায়তা না পেলেও অনেকেই টিসিবির ডিলার থেকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয় করে খেয়ে বাঁচতে পারবেন। সকাল থেকে অনেক মানুষ এখান থেকে পণ্য সংগ্রহ করেছেন। টিসিবির বিক্রয় কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে সাধারণত নিম্নআয়ের মানুষ দুইবেলা খেয়ে বাঁচতে পারবে। তারা নিয়মিত পণ্য বিক্রয়ের দাবি জানিয়েছেন।
রাঙামাটিতে টিসিবি’র স্থানীয় ডিলার মেসার্স মজুমদার ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী ঝিল্লোল মজুমদার জানিয়েছেন, বুধবার সকাল থেকে আমরা জেলা শহরের তবলছড়ি এলাকায় টিসিবির পণ্য বিক্রয় করেছি। সকাল থেকে প্রায় ৪ শতাধিক মানুষ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ন্যায্যমূল্যে পণ্য সংগ্রহ করেছেন। আমরা ১৭ মার্চ থেকে রাঙামাটিতে টিসিবির পণ্য বিক্রয় করে আসছি। এ পর্যন্ত তিনবার টিসিবির পণ্য এনেছি রাঙামাটিতে। একবার পণ্য আনলে তিন-চারদিন বিক্রয় করা যায়। গত কয়েকদিন ধরেই আমরা করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিপাকে পড়া মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রয় করছি। তাই এখন আগে থেকে পণ্যের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। মূলতঃ টিসিবি পণ্য বিক্রয় করে তেমন লাভ হয়না। তবুও নি¤œআয়ের ও মধ্যবিত্ত মানুষের পণ্যের চাহিদা থাকায় বিক্রয় করছি।
এ প্রসঙ্গে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, ক্রমান্বয়ে রাঙামাটি জেলা শহরের সব এলাকায় টিসিবির পণ্য বিক্রয় করা হবে। তবে ডিলারদের পণ্য আনতে খরচ বেশি হয় তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সহায়তা করা হবে।