জিয়াউল জিয়া ও শুভ্র মিশু
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলে যারা এখনো অবৈধ অস্ত্র দিয়ে, সন্ত্রাসী কার্যক্রম মাধ্যমে মানুষের রাতের ঘুম বন্ধ করতে চাইছেন, তারা এখনি তা বন্ধ করুন; অন্যথায় আমরা অচিরেই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করবো। রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করবেন না, রাষ্ট্র অনেক শক্তিশালী। রাষ্ট্রের সঙ্গে সন্ত্রাসী কার্যকালাপ করে কেউ টিকে থাকতে পারবে না। সারা পৃথিবীর দিকে তাকালেও আমরা দেখতে পাই সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে কোন সংগঠন টিকে থাকতে পারেনি।
সোমবার দুপুরে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ আরও বলেন, পাহাড়ে অশান্তির বীজ বপন করে ছিলেন জিয়াউর রহমান। সে অশান্তিকে দূর করতে ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তির বীজ বপন করেছেন শেখ হাসিনা। পৃথিবীর কোন দেশেই চাঁদাবাজি অস্ত্রবাজি করে কোন সংগঠন টিকে থাকতে পারেনি।রাঙামাটিতে কেউ অস্ত্রবাজি চাঁদাবাজি করে ঠিকে থাকতে পারবে না। আমি শুনে অবাক হলাম, পাহাড়ে সন্ত্রাসীরা বলে আওয়ামী লীগ করা যাবে না। তার মানেই এসব সন্ত্রাসী বিএনপি জামায়াতের মদদ পায়। বিএনপি জামায়াত পাকিস্থানের মদদপুষ্ট সংগঠন তারা দেশে কখনো শান্তি চায় না। তারা সব সময় স্বাধীনতাবিরোধী কার্যক্রমে লিপ্ত থাকে। পাহাড়ের এই অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হবে।
এদিন সকালে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মাহবুব উল আলম হানিফ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ। প্রতিনিধি সভায় ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় বক্তারা বলেন, দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। কোন অপশক্তিই দেশের চলমান উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। একই সঙ্গে পার্বত্য অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জোর দাবিও জানান বক্তারা।