নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য রাঙামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জমির হোসেন এর বিরুদ্ধে পাহাড়ের বাঙালীভিত্তিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সমর্থনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক রহমতউল্লাহ খাজা। যদিও প্রার্থী হওয়ার আগেই দলের জেলা নেতাদের কাছে দলত্যাগের জন্য অব্যাহতি চেয়ে আবেদন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মোবাইল মার্কায় নির্বাচন করা বাঘাইছড়ি পৌর বিএনপির এই সাধারন সম্পাদক একই সাথে বাঙালীভিত্তিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এর বাঘাইছড়ি উপজেলা কমিটির সহসভাপতি,জেলা কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বলে জানিয়েছেন।
বিএনপি ছাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যেহেতু সাধারন জনগণ আমাকে চাইছে তাই আমি প্রার্থী হয়েছি। আর বিএনপি যেহেতু নির্বাচন করছে না,তাই আমিই দল থেকে অব্যাহতি নিয়ে প্রার্থী হয়েছি। আমি এখন আর বিএনপির কেউই নই।’ নির্বাচনের পর আবার দলের ফিরবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে খাজা বলেন, সেটা এখনই বলা যাবে,সময় আসুক।
তবে খাজা বিএনপি থেকে পদত্যাগপত্র যার কাছে দিয়েছেন বলে দাবি করছেন,সেই জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ( বর্তমানে সভাপতি পদের প্রার্থী হওয়ায় পদত্যাগ করেছেন) দীপন তালুকদার দীপু বলছেন, খাজা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে অন্য ব্যানারে মেয়র প্রার্থী হয়েছে। এরপর সে দল থেকে অব্যাহতি চেয়ে একটি আবেদন দিয়েছে,সেটি আমরা কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন সিদ্ধান্ত যা নেয়ার কেন্দ্রই নিবে। আমাদের জেলা কমিটির এই বিষয়ে কিছু করার নাই।’
এদিকে বাঘাইছড়িতে নৌকা মার্কার প্রার্থী হয়েছেন পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জমির হোসেন। এর আগেও আরেক দফা মেয়র নির্বাচনে অংশ নিয়ে তৎকালীন বাঙালী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন নেতা আলমগীর কবিরের কাছে ৩৭ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। এবার আবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে সমঅধিকার বিলুপ্ত হয়ে গঠিক নাগরিক পরিষদের আরেক প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়লেন তিনি।
রাঙামাটি শহর থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দেশের সবচে বড় উপজেলা বাঘাইছড়ির আয়তন ১৯৩১.২৮ বর্গকিলোমিটার আর পৌর এলাকার আয়তন ২২.৬৭ বর্গকিলোমিটার। ২০০৪ সালে পৌরসভা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা পৌরসভার ভোটার ১১ হাজার ১৭১ জন।