রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া বাজার এলাকার ১০ বছর বয়সী ৬ষ্ট শ্রেণীতে পড়ুয়া সালমা আক্তার বৃষ্টির বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান।
ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জগদীশ চাকমা ও ইউপি সদস্য শীবমনি চাকমার সহায়তায় এ বিয়ে বন্ধ করা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ঘাগড়া বাজার এলাকার বাসিন্দা এলাকার রাজা মিয়া সওদাগরের ছেলের সাথে রাঙামাটি সদর উপজেলার রিজার্ভ বাজার এলাকার মীর বিপ্লবের মেয়ে সালমা আক্তার বৃষ্টির সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে ঠিক হয়। মেয়েটির বিয়ের পূর্ণ বয়স না হওয়ায় রাঙামাটি থেকে বিয়ে দিতে সমস্যা হতে পারে ভেবে ঘাগড়া আনাসার ক্যাম্প এলাকায় আত্মীয়র বাড়িতে এনে বিয়ের আয়োজন করা হয়।
বিয়ের দিন ধার্য্য করা হয় গত সোমবার (১২ নভেম্বর)। গত রবিবার মেহেদী অনুষ্ঠানের রাতে স্থানীয় এক সচেতন ব্যক্তি বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের জানালে গণমাধ্যমকর্মীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন। পরে মেহেদী রাতেই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সহযোগীতায় এ বিয়ে বন্ধ করা হয়।
ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জগদীশ চাকমা জানান, ‘উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে জন্মনিবন্ধন দেখতে চাইলে তারা প্রথমে ২০০০ সালে জন্ম দেখিয়ে হুবহু নকল করে একটি জন্ম নিবন্ধন দেখায়। সেটা আমরা অনলাইনে যাচাই করে কোন তথ্য না পাওয়ায় মূলটি দেখার জন্য বলি। পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি, মেয়ের জন্ম ২০০৮ সালে। তাৎক্ষণিাত বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে জানিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিই।’